মেট্রোরেল নির্মাণে সন্তোষজনক অগ্রগতি নাই
- ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই চালু হওয়ার লক্ষ্য ছিল দেশের প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬)। তবে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালুর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। সময় পেছানোর পরও সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই কাজের অগ্রগতি। মেট্রোরেল চালুর উপযোগী করতে অন্তত ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন। বাকি ১০ শতাংশ কাজ মেট্রোরেল চালুর পরও সমন্বয় করা যাবে। হাতে সময় আছে দুই বছরেরও কম। অথচ নির্মাণকাজ শুরুর পর সাড়ে তিন বছরে মেট্রোরেলের ডিপোর অবকাঠামো উন্নয়নকাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ।
চারটি প্যাকেজে ভাগ করে চলছে প্রকল্পটির উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণকাজ। এর মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের (প্যাকেজ-৩ ও ৪) নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। এ অংশে ৮ কিলোমিটারের বেশি উড়ালপথ দৃশ্যমান হয়েছে। উড়ালপথে শুরু হয়েছে রেললাইন ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম (বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন) স্থাপনের কাজ।
অগ্রগতিতে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আগারগাঁও-কারওয়ান বাজার (প্যাকেজ-৫) ও কারওয়ান বাজার-মতিঝিল (প্যাকেজ-৬) অংশ। এর মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ, কারওয়ান বাজার-মতিঝিলের ৩৮ শতাংশ। দুই অংশেই উড়ালপথের পিয়ারের জন্য চলমান আছে পাইলিংয়ের কাজ। এখনো ১৭৩টি পিয়ারের কাজ বাকি।
মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজের অগ্রগতি ২৯ শতাংশ। ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে গত ১ জানুয়ারি। অন্যদিকে রোলিং স্টক (রেল কোচ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম) সংগ্রহের কাজ এগিয়েছে ২০ শতাংশ।
গত বছরের মে মাসে মেট্রোরেল প্রকল্পের ওপর সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আইএমইডি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি ১৬ শতাংশ পিছিয়ে। সে সময় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছিল আইএমইডি। সুপারিশগুলোর মধ্যে ছিল ২০২০ সালের আগস্টের মধ্যে ডিপোর কাজ, আগারগাঁও-কারওয়ান বাজার অংশের উড়ালপথ ও স্টেশন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর এবং কারওয়ান বাজার-মতিঝিল অংশের উড়ালপথ ও স্টেশন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা। ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত আটটি ট্রেন ও একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঢাকায় পৌঁছার সুপারিশও করেছিল আইএমইডি। এসব সুপারিশ করা হয়েছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্য ধরে। এক বছর সময় পেছানোর পরও প্যাকেজভিত্তিক অগ্রগতিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে প্রকল্পটি।