২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামছেন মেয়র প্রার্থীরা

-

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে এবার চার মেয়র প্রার্থীর সামনে নতুন প্রতিপক্ষ। তাই নতুন কৌশল নিয়ে প্রচারে নামার পরিকল্পনা করছেন মেয়র প্রার্থীরা। যদিও আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হতে প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দুই দল থেকেই নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইশরাক হোসেন। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই প্রার্থীই আগে মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। তবে ভোটের মাঠে দু’জনেরই প্রতিপক্ষ নতুন।

ঢাকা দক্ষিণ
তাপস-ইশরাকের প্রথম মেয়র নির্বাচন। তবে নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস গত তিন মেয়াদে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার পর শেখ ফজলে নূর বলেন, উন্নত বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নত রাজধানীর প্রয়োজন। সেই উন্নত রাজধানী গড়ার লক্ষ্যে এ সুযোগটা আমি গ্রহণ করব, জনগণের কাছে যাবো। সিটি করপোরেশন আইনে অনেক ক্ষমতা দেয়া আছে। তাই চাইলে অনেক কিছু করা যায়। চাইলে, মনোনিবেশ করলে, আত্মনিয়োগ করলে অবশ্যই সম্ভব। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক অল্প দিনেই তা প্রমাণ করেছিলেন। আনিসুল হকের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। মেয়র হলে তার দেখানো পথেই হাঁটতে চান তিনি। শেখ ফজলে নূর তিন মাসের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা তৈরির ঘোষণাও দিয়েছেন।
শেখ ফজলে নূরের মতো বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনও রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। ইশরাক হোসেন অবিভক্ত ঢাকার শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে। এবারই প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে লড়ছেন ইশরাক। বিএনপির বিদেশবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী নিয়ে উদ্বেগ নেই। উদ্বেগ নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। অতীত তা-ই বলে। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকবে তার ইশতেহারে।

ঢাকা উত্তর
আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়াল আগেও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। তবে দু’জনের প্রতিপক্ষ ছিলেন আলাদা। এবার চেনা লড়াইয়ে অচেনা প্রতিপক্ষ সামনে রেখে নতুন প্রচারকৌশল নিচ্ছেন দু’জনই। আতিকুল তৈরী পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও উত্তর সিটির বর্তমান মেয়র। আর দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ।
মনোনয়ন পাওয়ার পর নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন আতিকুল। তিনি বলেন, যে দিন থেকে দায়িত্ব পেয়েছি, সে দিন থেকে এক দিনও সময় নষ্ট করিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৯ মাসে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। সুন্দর ঢাকা গড়তে সবাই মিলে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আনিসুল হকের বিপক্ষে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল। নির্বাচনের দিন মাঝপথে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেরও সহসভাপতি।
তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচন থেকে যাতে বিএনপি সরে যায়, তার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন নানা তৎপরতা চালাবে। কিন্তু এবার নির্বাচন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত থাকব। প্রচার, ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা, গণনার পর অনিয়ম হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় থাকতে চান তিনি। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগেই নির্বাচন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী।
আগামী ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা। এর আগেই তারা সব প্রস্তুতি শেষ করছেন।
ষ আমার ঢাকা প্রতিবেদক


আরো সংবাদ



premium cement