২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

-

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। এ ছাড়া ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই ও ৯ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। এখানকার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থাকছে ১ হাজার ৩৪৯টি। ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। অন্য দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ১২৪টি। ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে। সিইসি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের পাহারায় দু’জন করে সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রার্থী হতে হলে বর্তমান মেয়রদের পদত্যাগ করতে হবে। তবে কাউন্সিলররা পদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ঢাকার দুই সিটির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচন নিয়ে মামলা করলে জটিলতার সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, কোনো আইনি জটিলতা হবে না। এর আগে সিইসির সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের ৫৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। এরপর চার নির্বাচন কমিশনারকে সাথে নিয়ে তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব মো: আলমগীরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের প্রথম সভার দিন থেকে শুরু করে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বিধান রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চলতি মেয়াদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৪ মে। অন্য দিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চলতি মেয়াদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৭ মে। এ হিসাবে ডিএনসিসির চলতি মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ মে।
তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি বলেন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমরা (ইসি) নেবো। তারা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন, সে নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব। আমরা ভোটারদের আহ্বান করছি, তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসেন।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে কি না জানতে চাইলে কে এম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সেনা থাকবে না। পুলিশ, বিজিবি থাকবে। তবে ইভিএম মেশিন পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে সেনা কর্মকর্তা থাকবেন। তারা টেকনিক্যাল পারসন হিসেবে থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে নয়।
নির্বাচনে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না পারবে না। নতুন ভোটার হবে ৩১ জানুয়ারির পর। তাই নতুন ভোটাররাও কোনো আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারবে না। এ ছাড়া আমরা আইন সংশোধন করে নতুন ভোটার তালিকা ১ মার্চ প্রকাশের বিধান করব।
এ দিকে ঢাকার দুই সিটিতে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব মো: আবুল কাসেম। ডিএসসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা হয়েছেন আরেক যুগ্মসচিব আবদুল বাতেন। এ ছাড়া ডিএনসিসির জন্য ১৮ জন ও ডিএসসিসির জন্য ২৫ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement