২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজধানীজুড়ে কিউলেক্স মশার উপদ্রব

-

নগরবাসীর এখনো এডিস মশার আতঙ্ক কাটেনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখনো ঢাকায় নতুন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রম ছাড়াও বিশেষ অভিযান চালালেও তা কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ অনেক নগরবাসীর। এ অবস্থায় মশক নিধনে আবার ১০ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। সর্বশেষ গত মাসের ২৩ তারিখ থেকে কিউলেক্স মশা নিধনে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ কর্মসূচি’ পালন করে ডিএসসিসি। সংস্থাটি জানায়, গত অক্টোবরের শেষে কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও জিএম সাইফুর রহমানসহ ১২ জনের সমন্বয়ে পরিচালিত সমীক্ষায় ডিএনসিসির ৩৬ এলাকায় কিউলেক্স মশার মোট ৬২৬টি প্রজননস্থল (হটস্পট) চিহ্নিত হয়েছে।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরার বাসিন্দা রুবিনা আহমেদ বলেন, ২৪ ঘণ্টাই মশা কামড়াচ্ছে। বিকেলে জানালা বন্ধ না করলে মশার জ্বালায় কোথাও একটানা বসে থাকা যায় না।
এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার ডিএনসিসির মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড মাঠে ‘মশক নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ উদ্বোধন করেন। এ সময় মেয়র বলেন, এ অভিযানের আওতায় ২৪ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে ১০ দিনব্যাপী কিউলেক্স মশার ৬২৬টি প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হবে। ধ্বংস করা হবে মশার লার্ভা।
মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযানের ধারাবাহিকতায় এবার কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে ২০টি মিক্সড ব্লোয়ার যন্ত্র আনা হয়েছে; যা দিয়ে ঢেকে থাকা ড্রেনের ভেতর মশার ডিম ও লার্ভা নিধনে ওষুধ ছিটানো যাবে। এ ছাড়া উড়ন্ত মশা মারার ওষুধ ছিটানোর জন্য দু’টি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন আনা হয়েছে। এতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গতি আসবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement