মুক্তি মিলবে কবে?
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
অস্বস্তিকর গণপরিবহন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি মেয়র আনিসুল ডাক দিয়েছিলেন আমূল পরিবর্তনের। ঢাকার সড়ককে নিরাপদ করতে ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে বিশেষ ব্যবস্থায় চার হাজার নতুন বাস নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, মেয়র আনিসুল হক বেঁচে থাকলে হয়তো এতদিনে জনগণ এই উদ্যোগের সুফল ভোগ করতে পারত। ঢাকার রাস্তায় চার হাজার বাস নামানোর উদ্যোগের প্রতি বাস মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সমর্থন রয়েছে।
সড়কে অনাকাক্সিক্ষত এমন মৃত্যুর মিছিলের বিষয়ে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশচন্দ্র ঘোষ বলেন, শৃঙ্খলার মধ্যে থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে না। বিশৃঙ্খলা হলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে আপনি-আমি যে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শুধু পরিবহনের কারণেই নয়; পথচারী, বেপরোয়া বাইক, সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকারের কারণেও ঘটে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনার মধ্যেই কেবল বন্ধ হতে পারে প্রাণহানির ঘটনা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী আমরা। কিন্তু যেখানে বিনিয়োগ ছাড়া শুধু সিস্টেম ডেভেলপ করে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব সেখানে আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে।
দুর্ঘটনা ঘটবে নাÑ এমন সুন্দর উদাহরণ রাজধানীতেই আছে। ঢাকা চাকা কিংবা হাতিরঝিল চক্রাকারের মতো এক কড়িডোরে, এক কোম্পানির অধীনে রাজধানীর পরিবহন সেক্টরকে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে প্রতিযোগিতা থাকবে না, যাত্রীর সাথে সম্পর্ক থাকবে না। যাত্রী না থাকলেও চালকরা বেতন পাবে। এ ধরনের পরামর্শ ২০০৫ সালে, ২০১৩ সালেও দেয়া হয়েছে।