দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি পশুর হাট
- আহমেদ ইফতেখার
- ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীতে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য এবার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৪টি। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৭ আগস্ট থেকে এসব হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হবে, চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। আর হাট প্রস্তুত করতে গত সোমবার ইজারাদারদের সময় দেয়া হলেও এরই মধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নগরীর কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ডিএনসিসি এলাকার হাটগুলো হলোÑ উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ ও ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের ফাঁকা জায়গা; ভাটারা (সাঈদ নগর) পশুর হাট; ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ; মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইন্সের খালি জায়গা; মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং)-এর খালি জায়গা; মিরপুর ডিওএইচএস-সংলগ্ন উত্তর পাশের সেতু প্রপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গা; বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই, সেকশন-৩-এর খালি জায়গা; কাওলা-শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা ও ভাষানটেক রাস্তার নির্মাণাধীন অব্যহৃত ও পরিত্যক্ত অংশ এবং পাশের খালি জায়গা।
তবে এবার ডিএনসিসির অধীন ৩০০ ফুট এলাকার হাটটি বসছে না। এটি ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরে ভূমিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা বাতিল করা হয়।
ডিএসসিসি এলাকার ১৪টি হাট হলোÑ উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ঝিগাতলা-হাজারীবাগসংলগ্ন আশেপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠসংলগ্ন আশেপাশের খালি জায়গা, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামসাবাদ মাঠসংলগ্ন আশপাশ এলাকার খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, শনির আখড়া ও দনিয়া মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউয়ারটেক মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দাওকাণ্ডি ইন্দুলিয়া ভাগাপুর নগর (আফতাবনগর ইস্টার্ন হাউজিং মেরাদিয়া মৌজার সেকশন-১ ও ২) লোহারপুলের পূর্ব অংশ এবং খোলা মাঠসংলগ্ন আশেপাশের খালি জায়গা ও আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা।
গতকাল সকালে মেরাদিয়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে ইজারাদাররা হাটের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছেন। সারি সারি বাঁশ আর খুঁটি দিয়ে পশু বাঁধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোরবানির পশুও দেখা গেছে। এই হাটের ইজারাদার মো: শাহ আলম জানান, তারা হাট সাজানোর কাজ করছেন। তবে জনসাধারণের সমস্যা হতে পারে, সে বিবেচনায় সড়কের পাশে এখনো বাঁশ-খুঁটি দিচ্ছে না। হাটের প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন। একই অবস্থা আফতাবনগর কোরবানি পশুর হাটের। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করছে দুটি সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে হাটের প্রধান গেট তৈরিসহ ভেতরের সব কাজ শেষ।
গতকাল মেরাদিয়া হাটে কথা হয় গরু ব্যবসায়ী নূরে আলমের সাথে। তিনি জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে কুষ্টিয়ায় নিজের বাড়ি থেকে আলমের সাথে তার ভাই, ভগ্নিপতিরাও ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসেন। এবারো ১৩টি গরু নিয়ে এসেছেন মেরাদিয়া পশুর হাটে। ঢাকায় এসব গরুর প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন। এবারের মতো পরিস্থিতি আগে কখনো কোরবানির ঈদের আগে হয়নি। জানুয়ারি মাস থেকে ৫৫ কেজি ভুষির বস্তা এক হাজার ৩০০ টাকা বেড়ে এখন হয়েছে দুই হাজার টাকা। গরু লালন-পালনের খরচও বেড়েছে। এখন ঢাকায় ডেঙ্গুর কথা শোনা যাচ্ছে। তাই গরুর দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আর ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্কে রয়েছি। হ