নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে মহাপরিকল্পনা
- ২৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখল রোধে খসড়া মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে এবং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।
গত রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরিসংক্রান্ত কমিটি মাস্টার প্ল্যান দু’টি চূড়ান্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জুলাই মাস্টার প্ল্যান দু’টি অনুমোদন করেছেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম বলেন, মাস্টার প্ল্যানে নদী দূষণের ৯টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্য যাতে নদীতে না যায় সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, নদী দখলমুক্ত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য করা মাস্টার প্ল্যানে তিনটি বিষয় রয়েছে। নদী দূষণ, দখল ও নাব্যতা। ঢাকার নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, তুরাগ, বালু ও পুংলি নদী। এসব নদীর সাথে যুক্ত ৩৯টি খালকেও মাস্টার প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নদীগুলোর দূষণ, দখল ও নাব্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর শাখা নদী, খালগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণসহ বাস্তবিক ধারণা নিয়ে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প পর্যালোচনা করে মাস্টার প্ল্যান দু’টি প্রস্তুত করা হয়েছে।
নদীদূষণ, দখল রোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধিতে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে চার ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম (এক বছর), স্বল্পমেয়াদি (তিন বছর), মধ্যমেয়াদি (পাঁচ বছর) ও দীর্ঘমেয়াদি (১০ বছর)। মাস্টার প্ল্যানে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর জন্য মাস্টার প্ল্যানে ২৪টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৮০টি সহযোগী কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর জন্য মাস্টার প্ল্যানে ৪৫টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৬৭টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে।