২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বৃষ্টির মওসুমে চলছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি

-

ঢাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিলকুশা, ফকিরাপুল এবং পান্থপথে একযোগে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। সড়কজুড়ে রাখা হয়েছে সাড়ে পাঁচ ও তিন ফুট ব্যাসের পাইপ। খুঁড়ে তোলা মাটি ও পিচপাথরের বড় বড় খণ্ড সড়কেই স্তূপ করে রাখা। বৃষ্টির মওসুম এবং পবিত্র রমজান মাসে এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সৃষ্টি হয়েছে চরম জনদুর্ভোগ। এ নিয়ে ঢাকার এসব এলাকার বিভিন্ন অফিসের লোকজন, দোকানি, যানবাহনের আরোহী ও পথচারীদের বিরক্তির শেষ নেই। জলাবদ্ধতা কমাতে পাইপ বসানোর জন্য এই খোঁড়াখুঁড়ি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকার রাস্তা খনন করা যায় না। সিটি করপোরেশন থেকে এই নিয়ম করা হয়। অথচ খোদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) অসময়ে এই রাস্তাটি খননের কাজ করছে।
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা এবং পাইপ রাখার কারণে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত অফিস ছুটি হলে বিসিআইসি ভবনের সামনে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার বাসের কারণে যানজট থাকে। বর্তমানে তা আরো তীব্র হয়েছে। আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকের পাশে মতিঝিল এলাকায়, ইসলামী ব্যাংক ভবনের কাছে দিলকুশা এলাকায়, এমনকি রাজউক ভবনের দক্ষিণ দিকের রাস্তায়ও যানবাহন প্রায় স্থবির হয়ে ছিল। ছুটির পর যানজট আর পথচারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাঁটার জায়গাও থাকে না।
ফকিরাপুলে পানির ট্যাংকের বিপরীত দিকে প্রায় দেড় শ’ মিটার রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। একটু পরপর বিশাল গর্ত। সেখানেও গর্তের মাটি আর রাস্তার ভাঙা অংশ যথেচ্ছভাবে রাখা হয়েছে। এতে ওই সড়কে যানজট বেড়ে গেছে। জের পড়েছে একদিকে দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায়, অন্য দিকে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডে। যে অংশে খোঁড়া হয়েছে তার কাছেই বাসাবোসহ ঢাকার পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকার টেম্পো চলাচল করে। এখন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট ২ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, দিলকুশা ছাড়াও মতিঝিল, ফকিরাপুল, নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকার জলাবদ্ধতা কমাতে পাইপ বসাতে হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়ির কাজ আগেই শুরু করার কথা থাকলেও কার্যাদেশ পেতে দেরি হয়ে যায়। কত দিনের মধ্যে খনন ও পাইপ বসানোর কাজ শেষ করা হবে, তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
এদিকে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের কাছ থেকে পশ্চিমে গ্রিন রোড মোড়েও। গর্ত খোঁড়ায় স্কয়ার ও শমরিতা হাসপাতালসহ স্থানীয় সব হাসপাতালে রোগী এবং তাদের নিকটজনদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। শমরিতা হাসপাতালের সামনের সড়ক সবচেয়ে বেশি খোঁড়া হয়েছে। রাখা হয়েছে তিন ফুট ব্যাসের পাইপ।


আরো সংবাদ



premium cement