তুরাগতীরে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা
- ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
বিভিন্ন নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। গত রোববার দুপুরে তুরাগ নদীর টঙ্গীর পাগার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ঘুরে দেখেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাৎ হোসেন ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীতীর উদ্ধারে চলমান অভিযানের ৩৪তম দিনে গত রোববার ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা। টঙ্গীতে একটি গার্মেন্ট কারখানার বহুতল ভবন ভাঙতে গিয়ে হামলা ও বাধার মুখে পড়েছেন উচ্ছেদ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) গত রোববার অভিযান চালিয়ে ২৯টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে এক একর জায়গা অবমুক্ত করেছে। সকালে গাজীপুরে টঙ্গী মডেল থানাধীন টঙ্গী নদীবন্দর টার্মিনাল থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। মাউসাইদ মৌজার রশিদ অটো ব্রিকস পর্যন্ত তুরাগ নদের উভয় তীরে অভিযান চলে। তুরাগের দুই তীরে অসংখ্য কারখানা ও আবাসিক ভবন। এর মধ্যে অনেক স্থাপনাই নদীতীরের বাইরে। তবে সেগুলো বিশেষ ড্রেন তৈরি করে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে তুরাগে। এতে দূষণের পাশাপাশি ভরাট হচ্ছে নদী। কয়েকটি কারখানার সীমানাপ্রাচীরসহ কিছু অংশ নদীতীরের মধ্যে পড়েছে। সেগুলো লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া ছিল। বেশির ভাগ স্থাপনার মালিকরা মালামালসহ বসবাসকারীদের সরিয়ে ফেলেছে।
নদীতীর সংলগ্ন অবৈধ একটি সাততলা ভবন অনন্ত গ্রুপের মালিকানাধীন। সেখানে প্যারাডাইস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং নামে একটি কারখানা আছে। বিআইডব্লিউটিএর জরিপ অনুযায়ী, এই কারখানা ভবন নদী সীমানার ১৫ ফুট ভেতরে। এ অবস্থায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে গার্মেন্ট শ্রমিকরা নিচে নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং উচ্ছেদে বাধা দেয়। অপ্রীতিকর এ ঘটনা সামাল দিতে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, অনন্ত গ্রুপের শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্যারাডাইস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং নদীর সীমানায় পড়েছে। এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র পরীক্ষা ও আইনি পদক্ষেপের পরই উচ্ছেদ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত চারজন উদ্ধত আচরণ করার পাশাপাশি শ্রমিকদের উত্তেজিত করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে তাদের আটক করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানকালে গতকাল ভাঙা হয়েছে ২৯টি স্থাপনা।