২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে বিপিও সামিট

-

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে আগামী ২১ ও ২২ এপ্রিল চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠেয় দুই দিনের বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ।
চতুর্থবারের মতো আয়োজিত বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯ সম্পর্কে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ২০১৫ সালে বিপিও সেক্টর সম্পর্কে জনগণের তেমন কোনো ধারণা না থাকলেও তিনবারের বিপিও সামিট আয়োজনের ফলে এখন সবাই এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বিপিও খাতে উন্নয়নের জন্য এ সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা করেন।
আয়োজন সম্পর্কে বাক্য-এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন জানান, সব শ্রেণীর মানুষের চাকরির সুযোগ রয়েছে বিপিও সেক্টরে। আমরা এ সামিটে তা তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিপিও সেক্টরে দেশের যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিপিও সামিটে বিশ^বিদ্যালয় থেকে দক্ষ তরুণদের এনে চাকরির দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রফতানির অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। এ যাত্রা এ সরকারের আমলে শুরু হয়েছে। আগে আমরা প্রযুক্তি পণ্য আমদানিকারক দেশ ছিলাম, বর্তমানে আমরা উৎপাদন ও রফতানি করছি।
বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯ আয়োজন সফল করার জন্য দেশব্যাপী পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন চলাকালীন ও অন্য প্রচারণার মাধ্যমে সিভি সংগ্রহ করা হবে। এর আগে ২০১৬ সালে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এ সম্মেলন থেকে কল সেন্টারসহ বিভিন্ন চাকরি পেয়েছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে প্রথম বিপিও সম্মেলন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছিল ২৩৫ জন শিক্ষার্থী।
আয়োজকদের পক্ষ জানানো হয়, দুই দিনের আয়োজনে দেশী-বিদেশী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সাথে জড়িতরা অংশ নেবেন। প্রযুক্তি ব্যবসায় বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসায় পরিচালনা, ব্যবসায় উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব-দরবারে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতকে আরো কিভাবে ভালো করা যায় সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে এবং সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য।
এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। সময়ের আলোচিত সেবা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গত তিনবারের সফল আয়োজনের এবার আরো বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হবে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা। এবারের আয়োজনে ৪০ জন স্থানীয় স্পিকার, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পিকার অংশগ্রহণ করবে। এবারের বিপিও সামিটে ১২টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। ষ সুমনা শারমিন

 


আরো সংবাদ



premium cement