উৎসবের অপেক্ষা
- ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
পঞ্জিকার হিসাবে আর মাত্র পাঁচ-ছয় দিন বাকি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনে মাতবে গোটা দেশ। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নব উল্লাসে মেতে এগিয়ে যাবে বাঙালি। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া এ উৎসব উদযাপনের মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভযাত্রা। যার প্রস্তুতির জন্য এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতি বছর চারুকলা অনুষদের একটি ব্যাচ এই উৎসব আয়োজনের দায়িত্ব পায়। এবারে আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ এই স্লোগান সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো জাঁকজমক পরিবেশে এ উৎসবের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। নানা রকমের জিনিসপত্র তৈরি করে এ উৎসবে ভিন্নমাত্রা যোগ করা হয়। এসব জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, পয়লা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বিভিন্ন রকমের মুখোশ, পট ও আকৃতির জিনিস তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিক্রিও শুরু করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। বিক্রি করছেন চারুকলা অনুষদের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। মুখোশের সাথে বানানো হচ্ছে পেঁচা, বাঘ, সিংহ, ময়ূর, ইঁদুর, হাঁস, ষাঁড়, প্রজাপতি, সূর্য ইত্যাদি প্রতীক। বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সকালে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন।
যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোনো ধরনের গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এমনকি মোটরবাইকও চলাচল করবে না। তবে নববর্ষের আগের দিন যান চলাচলে কোনো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এসব তথ্য জানিয়েছেন। ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘জনদুর্ভোগ এড়াতে পয়লা বৈশাখের আগের দিন যান চলাচলে আমরা কড়াকড়ি করব না। তবে অপ্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসার জন্য নিরুৎসাহিত করছি। কিন্তু যারা জরুরি প্রয়োজনে আসবেন, তাদের চেক করে প্রবেশ করা হবে। তবে বৈশাখের দিন কোনো প্রকার গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।’