চলছে অমর একুশে বইমেলা
- আহমেদ ইফতেখার
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
দীর্ঘ এক বছর পর সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় আয়োজন মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকেই। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার নিয়ে ১৬ বার বইমেলার উদ্বোধন করলেন তিনি।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সর্বসাধারণের জন্য বইমেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। শিশু প্রহরে শিশু-কিশোর আর অভিভাবকদের আনাগোনায় প্রাণচঞ্চল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বর। শনিবার শুরু থেকেই শিশুদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে সিসিমপুর। হালুম, ইকরি, শিকু ও টুকটুকির নাটিকায় উৎফুল্ল শিশুরা। কেউ হাত মেলাচ্ছে, কেউ ওদের সঙ্গে ছবি তুলছে। ছোট ছোট শিশুরা মা-বাবার সাথে বই কিনছে, কিনছে কার্টুনও। ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’ গানে শিশু চত্বরের স্টেজে আপন মনে নাচতে দেখা যায় শিশুদের।
শিশু চত্বরে বিনোদনের পাশাপাশি আছে হরেক রকমের বই। চত্বরে চিলড্রেন্স পাবলিকেশন, শিশুরাজ্য, শৈশব প্রকাশ, সিসিমপুর, ঘুড়ি প্রকাশন, মাহি প্রকাশনী, ছোটদের মেলা, শিলা প্রকাশনী, বাবুই, ঘাস ফড়িংসহ প্রায় ৩০ টির মতো স্টল রয়েছে; যেখানে শিশুদের বই পাওয়া যাচ্ছে। এবার শিশুদের বসে বই পড়ার জন্য চত্বরে আলাদা জায়গা করা হয়েছে। শিশু প্রহর চলবে মেলা চলাকালে প্রতি শুক্র ও শনিবার। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া শিশুদের এ মিলনমেলা চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।
মেলার প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। তবে লেখক-পাঠকদের উপস্থিতিতে প্রথম দিনেই প্রাণবন্ত মেলার শ্রী নষ্ট করেছে ধুলা। গতকাল মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা মুখে মাস্ক ও রুমাল বেঁধেও ধুলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ছিটানো বালু উড়ছে বাতাসে। পানি না ছিটানোয় এমন হয়েছে বলে মনে করছেন দশনাার্থী ও প্রকাশনাগুলো।
এ বছর মেলাকে অনেক খোলামেলাভাবে সাজানো হয়েছে। মেলার খোলামেলা বিন্যাসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দর্শনার্থীরা। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২০টি ইউনিটসহ মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে ২টি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। স্টল পেয়েছে অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান।