২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যত্রতত্র থামছে গাড়ি

-

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ১৩ মাসের মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় নানা কর্মসূচি পালন করেছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি। রাজধানীতে চলমান ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষের ১৩ ধরনের কার্যক্রমের দু’টি হলো যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করা এবং চলন্ত অবস্থায় বাসের দরজা বন্ধ রাখা। কিন্তু নানা পদক্ষেপের পরেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এর সাথে যোগ হয়েছে ‘সিটিং সার্ভিসের’ নামে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাসে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী তোলা। এসব বাসও নির্ধারিত স্থানের (স্টপেজ) বাইরে যত্রতত্র যাত্রী তুলছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
এই ‘সিটিং সার্ভিস’ নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধে সরকার গঠিত কমিটি ২৬টি সুপারিশ জমা দিয়েছিল। এসব সুপারিশের মধ্যে ছিল শর্ত সাপেক্ষে সিটিং সার্ভিস রাখা, বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে রেষারেষি বন্ধের পাশাপাশি যত্রতত্র বাস থামানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই। সড়ক বিশেষজ্ঞ ও নগরবাসীর মতে, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে মূল সমস্যার দিকে সরকারের তেমন মনোযোগ নেই, মামলা ও জরিমানার দিকেই বেশি আগ্রহ। এতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম বলেন, যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে প্রত্যাশিত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না। বাসচালকদের পাশাপাশি যাত্রীদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আমরা যেভাবে শৃঙ্খলা চেয়েছি, হয়তো কাক্সিক্ষত শৃঙ্খলা আনা যায়নি। তবে একটা পরিবর্তন সড়কে এসেছে। যেখানে ট্রাফিক পুলিশ নেই, সেখানে গাড়ির দরজাগুলো খুলে ফেলছে। আমাদের যাত্রীদেরও দোষ আছে। যাত্রীরা রাস্তার মাঝখানে নামার জন্য চালকের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। আমাদের যাত্রীদের সভ্য হতে হবে। চালকদেরও সচেতনতার ঘাটতি আছে। এসব বিষয় নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement