২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চালু হলো তোশাখানা জাদুঘর

-

রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীদের পাওয়া দেশী-বিদেশী বিভিন্ন উপহারসামগ্রী সংরক্ষণে তোশাখানার জন্য নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে ‘আধুনিক রাষ্ট্রীয় তোশাখানা ভবন’ উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্জন প্রদর্শিত হোক, মানুষ জানুক। এই তোশাখানার মাধ্যমে নিজের দেশকে মানুষ জানতে পারবে। এক সময় এটা খুবই দর্শনীয় জায়গা হবে। রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীদের দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহারসামগ্রী সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উপহারসামগ্রী দেশের সম্পত্তি এবং দেশের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কাজেই এসবকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর পাঁচতলা তোশাখানা ভবনটি নির্মিত হয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা। তোশাখানার তত্ত্বাবধানে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই তোশাখানায় বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়া সব পুরস্কার রাখা হবে। তোশাখানাটি জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়া দেশী-বিদেশী উপহারসামগ্রী সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। তার নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং বঙ্গভবনে তোশাখানা স্থাপন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই তোশাখানার জন্য পৃথক ভবনের প্রয়োজন অনুধাবন করায় তার নির্দেশনাতেই রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর জন্য এই নান্দনিক তোশাখানা ভবন নির্মাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement