পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
- আহমেদ ইফতেখার
- ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
সংসদে সদ্য পাস হওয়া পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট চলে। গত রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। শ্রমিকদের কর্মবিরতির শুরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। বন্ধ ছিল সব ধরনের গণপরিবহন।
ধর্মঘটের ফলে পথে পথে ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। অনেকে ধর্মঘটের খবর আগে থেকে না জানায় সকালে রাস্তায় নেমে পড়েন ভোগান্তিতে। গণপরিবহন না পেয়ে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে গিয়েছেন যাত্রীরা। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে অফিসগামীদের অনেকেই গাড়ির অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। গাড়ি না পেয়ে তাদের অনেকেই হেঁটে রওনা হয়েছেন গন্তব্যে। আর এ সুযোগে রিকশা-সিএনজি অটোরিকশায় নেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদসহ অন্যান্য পয়েন্ট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, পিরোজপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা শহর থেকেও কোনো পরিবহন ঢাকায় প্রবেশ করছে না।
শ্রমিকদের আট দফা দাবি হলোÑ সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে, অর্থদণ্ড পাঁচ লাখ টাকা করা যাবে না, সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণী করতে হবে, ওয়েস্কেলে (ট্রাক ওজন স্কেল) জরিমানা কমানোসহ শাস্তি বাতিল করতে হবে, সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সব জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।