রাজধানীতে তৈরি হবে পাতাল মেট্রোরেল
- ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি-১) প্রকল্পে কারিগরি সহায়তার জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জাপানের নিপ্পন কোই কোম্পানির নেতৃত্বে সাতটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে কারিগরি সহায়তায় চুক্তি করেছে মেট্রোরেলের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পাতাল রেলপথ নির্মাণে পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে।
গত বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। জাপানের দু’টি, ভারতের তিনটি, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের একটি করে প্রতিষ্ঠান এমআরটি-১ প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র কাজে সহায়তা করবে। এমআরটি-১-এর আওতায় কুড়িলের যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দিয়ে বিমানবন্দর এবং পূর্বাচল; এ দু’টি পথে মেট্রো রেলপথ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দর রুটটি নির্মাণ করা হবে মাটির নিচে। পূর্বাচল রুটটি থাকবে মাটির ওপরে উড়াল সেতুর ওপর। এমআরটি-১-এর আওতায় ১৬ দশমিক ৪০ কিলোমিটার রেলপথ আন্ডারগ্রাউন্ডে নির্মিত হবে। এমআরটি-১-এর আওতায় বিমানবন্দর ও পূর্বাচল- এই দু’টি রুটে মোট ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে পাতাল অংশ হবে ১৬ দশমিক ৪০ কিলোমিটার এবং উড়াল অংশ থাকবে ১০ দশমিক ২০ কিলোমিটার। বিমানবন্দর রুটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর যাবে। এ রুটে স্টেশন হবে ১২টি। এর মধ্যে নতুনবাজার স্টেশনে এমআরটি-৫-এর সাথে আন্তঃসংযোগ থাকবে। পূর্বাচলগামী রুটটি নতুনবাজার থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা হয়ে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল সেক্টর-৭ হয়ে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ রুটে নতুনবাজার ও যমুনা ফিউচার পার্ক সংলগ্ন, পাতাল স্টেশনসহ মোট ৯টি স্টেশন হবে।