কেনিয়ার স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ২১ বালক নিহত

কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে শনিবার একটি স্কুল ছাত্রাবাসে আগুন লেগে মোট ২১ জন বালক নিহত হয়েছে। এটি একটি ট্র্যাজেডি যা দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর নিরাপত্তার মান নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।

দেশের মধ্যাঞ্চলেই সন্ধ্যায় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে আরেকটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে, সেখানে আহতদের বিষয়ে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া যায়।

শনিবার দিনের প্রথম দিকে দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউটর নয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এন্দারাশা একাডেমিতে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডটি অবহেলা নাকি অদূরদর্শিতার কারণে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে স্কুলে ছেলেদের একটি ছাত্রাবাস আগুনের লেলিহান শিখায় প্রজ্জ্বলিত হয়, এ সময় ছাত্রাবাসটিতে ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী ১৫০ জনেরও বেশি ছাত্র ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল।

সরকারি মুখপাত্র আইজ্যাক মাওয়াউরা বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে মোট ১৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরো দু’জন হাসপাতালে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, সেই সময়ে ছাত্রাবাসের মোট ১৫৬ জন ছেলের মধ্যে এখন বাড়িতে বা হাসপাতালে থাকা ১৩৯ জনের হিসাব পাওয়া গেছে।

এমওয়াউরা একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি আমাদের কল্পনার বাইরে একটি বিপর্যয়।’

হোমিসাইড টিম এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা শনিবার স্কুলে তাদের তদন্ত জোরদার করেছে, ভিকটিমদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

চিফ গভর্নমেন্ট প্যাথলজিস্ট জোহানসেন ওডুর বলেন, মঙ্গলবার থেকে পোস্টমর্টেম শুরু হবে।
এদিকে, উত্তর-পূর্বে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দূরে ইসিওলো গার্লস হাই স্কুলে শনিবার রাতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ইসিওলো কাউন্টির কমিউনিকেশন ডিরেক্টর হুসেন সালেসা এএফপিকে বলেন, দুই বা তিনটি ভবনে আগুন লেগেছে। ‘অনেকে আহত হয়েছে তবে আমরা এই মুহূর্তে সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছি না।’

জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং ছাত্র ও কর্মীদের মধ্যে ‘কেউ আহত’ হয়নি।

পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টর রেনসন ইঙ্গোঙ্গা পুলিশকে এন্দারাশা অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

তার অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অগ্নিকাণ্ডের জন্য দোষী প্রমাণিত যেকোনো ব্যক্তিকে ফৌজদারি বিচারের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র : এএফপি