কেনিয়ায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৮
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৫১, আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ১১:১৮
কেনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্চ থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
কেনিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকার অন্যান্য দেশে প্রবল বৃষ্টিপাত ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে লোকজন তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুঃখজনকভাবে দেশে ১৮৮ জনের মৃত্যু লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।’
এতে আরো বলা হয়, ১২৫ জন আহত ও ৯০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং এক লাখ ৬৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত মাসাই মারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে ভারী বৃষ্টিপাতের পর নদীর পানি উপচে পড়ায় প্রায় ১০০ পর্যটক পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
মন্ত্রণালয় জানায়, উদ্ধারকর্মীরা মাসাই মারা থেকে সফলভাবে ৯০ জনকে স্থল ও আকাশপথে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে তালেক নদীর পানি উপচে পড়ার পর লজ ও সাফারি ক্যাম্প প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে রিফট উপত্যাকায় মাহিউয়ের কাছে একটি বাঁধ ভেঙে যায়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাঁধ বিপর্যয়ের পর ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো ঘোষণা করেন, বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে সেখানে বসবাসরত সবাইকে সরিয়ে নিতে তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েন করছেন।
বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং লবি গ্রুপগুলো রুটোর সরকারের বিরুদ্ধে আবহাওয়ার সতর্কতা সত্ত্বেও সঙ্কট মোকাবিলায় অপ্রস্তুত থাকা এবং কাজের ধীরগতির অভিযোগ করেছে। তারা বন্যাকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভয়াবহ আবহাওয়ার ঘটনা থেকে অপ্রত্যাশিত ক্ষতি রোধ করা এবং দুর্যোগের সময় মানুষকে রক্ষা করার জন্য কেনিয়া সরকারের মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা