২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সৈন্য মোতায়েন!

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সৈন্য মোতায়েন! - ছবি : সংগৃহীত

নাইজারে মার্কিন সৈন্যদের অবস্থান থাকা একটি বিমানঘাঁটিতে রুশ সামরিক সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এক সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান। নাইজারের সামরিক শাসকেরা দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা ঘটল।

নাইজার শাসনকারী সামরিক অফিসাররা গত মার্চে তাদের দেশে অবস্থানরত প্রায় এক হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যকে সরে যেতে বলে।

গত বছরের জুলাই মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের আগে নাইজার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অংশীদার। তারা আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের আইএসআইএল (আইএসআইএস) এবং আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। বর্তমানে ওই লড়াই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, রুশ সৈন্যরা ওই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সাথে মুখোমুখী হয়নি। তারা এয়ারবেজ ১০১ নামে পরিচিত স্থানটিতে আলাদা বিমান হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছে। স্থানটি নাইজারের রাজধানী নিমের দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে রুশদের বিরুদ্ধে মার্কিনরা যখন সমর্থন দিচ্ছে, তখন মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটিতে রুশ সামরিক উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।

রাশিয়ার এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রত্যাহারের পর নাইজারে মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোর ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। তবে স্বল্প মেয়াদে তা ব্যবস্থাপনাযোগ্য।

এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনে নাইজার ও রুশ দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।

আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মহাদেশটির বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।

নাইজার ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে শাদ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আর ফরাসি বাহিনী বিদায় নিয়েছে মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকে।

একইসাথে রাশিয়া এখন আফ্রিকার দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে।

সূত্র : আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement