২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সোমালিয়ার পক্ষে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির বার্তা

সোমালিয়ার পক্ষে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির বার্তা - ছবি : ডয়চে ভেলে

ইথিওপিয়া সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে সমুদ্র ব্যবহারের পথ তৈরির ইঙ্গিত দেয়ার পর মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি বলেছেন, সোমালিয়ার ওপর কোনো হুমকি তার দেশ মেনে নেবে না।

সোমালি প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদের সাথে সাক্ষাতের সময় তিনি ইথিওপিয়ার প্রতি মিশর বা মিশরের সাথে ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক আছে এমন কারো সাথে টক্কর না দেয়ার আহ্বান জানান।

১৯৯১ সালে সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও এখনো কোনো দেশ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি রোববার ইথিওপীয়দের উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, সোমালিয়াকে কেউ হুমকি দিলে বা দেশটির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করলে মিশর তা সহ্য করবে না।

সোমালি প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদের সাথে সাক্ষাতের সময় তিনি ইথিওপিয়ার প্রতি মিশর বা মিশরের সাথে ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক আছে এমন কারো সাথে টক্কর না দেয়ার আহ্বান জানান।

সোমালিল্যান্ড এবং ইথিওপিয়ার মধ্যে বিতর্কিত চুক্তি
একসময় ব্রিটেনের অভিভাবকত্বে থাকা সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু তাদের সেই স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক বিশ্ব। সম্প্রতি ইথিওপিয়া জানিয়েছে যে, একটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগের বিনিময়ে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিতে পারে দেশটি। সেক্ষেত্রে সোমালিল্যান্ডের আওতায় থাকা এডেন উপসাগরের ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রতট আগামী ৫০ বছরের জন্য ব্যবহারের সুযোগ পাবে ইথিওপিয়া।

তবে ইথিওপিয়া ও সোমালিল্যান্ডের মধ্যকার এই সমঝোতা স্মারকটিকে গত ১ জানুয়ারি ‘আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দিয়েছে সোমালিয়া। সোমালিল্যান্ডের নিজস্ব সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী এবং মুদ্রা রয়েছে, তবে অঞ্চলটির স্বাধীনতা ঘোষণা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি।

সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের সংবাদ শোনার পর সোমালি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বলেন,‘আমরা চুপ থেকে আমাদের স্বার্বভৌমত্ব বিপদগ্রস্ত হওয়া দেখব না।’

মোগাদিশু ইথিওপিয়াকে এই ‘অবৈধ' সমঝোতা থেকে সরে আসতে এবং ‘সোমালিয়ার সার্বভোমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে’ আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে আল সিসি আদ্দিস আবাবাকে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটির সাথে সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

ইথিওপিয়ার সাথে কায়রোর উত্তেজনা নতুন নয়
ইথিওপিয়ার নীল নদকেন্দ্রিক মেগা প্রকল্প ‘গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ’ তৈরি নিয়ে গত এক দশক ধরে মিশরের সাথে উত্তেজন বিরাজ করছে। দেশ দুটো এবং সুদানের মধ্যে এ সংক্রান্ত আলোচনা এখনো কোনো ফল বয়ে আনতে পারেনি। ফলে কায়রো পানি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।

গত সপ্তাহে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইথিওপিয়াকে ‘সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে অস্থিরতার উৎস’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement