অনশনে জীবন শঙ্কায় : গাদ্দাফির ছেলেকে মুক্তি দিতে লেবাননের প্রতি লিবিয়ার অনুরোধ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৫২, আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩৭
অনশনের কারণে স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে লিবিয়ার বিচার বিভাগ লিবিয়ার সাবেক শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির অন্যতম ছেলে হানিবল গাদ্দাফিকে মুক্তি দিতে লেবাননের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে।
হানিবল গাদ্দাফি ২০১৫ সাল থেকে বিনা বিচারে লেবাননে আটক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। বিচার ছাড়াই তাকে আটকে রাখার প্রতিবাদে তিনি ৩ জুন থেকে অনশন ধর্মঘট করছেন। তাকে অন্তত দুবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কেবল সামান্য পরিমাণে পানি পান করেন।
লেবাননের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা সোমবার জানান, লিবিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল আল-সেদিক আল-সৌর চলতি মাসে তার লেবাননি প্রতিপক্ষের কাছে হানিবল গাদ্দাফিকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
অনুরোধ পত্রে হানিবলকে আটক রাখার কারণ জানতে চাওয়া হয়। এরপর তাকে লিবিয়া বা সিরিয়ার কাছে হস্তান্তর করতে অনুরোধ করা হয়। উল্লেখ্য, হানিবল তার লেবাননি স্ত্রী অ্যালিন স্কাফ ও সন্তানদের নিয়ে সিরিয়ায় প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন। তবে আট বছর আগে লেবাননি যোদ্ধারা তাকে অপহরণ করে। তারা তার কাছে ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় নিখোঁজ লেবাননি শিয়া নেতা মুসা আল সদরের তথ্য জানতে চায়।
লেবাননি পুলিশ পরে জানায়, তারা হানিবল গাদ্দাফিকে উত্তর লেবাননের বালবেক নগরী থেকে তুলে এনেছে। তাকে বৈরুতের কারাগারে রাখা হয়েছে।
১৯৭৮ সালে আল সদরের নিখোঁজ হওয়া নিলে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। সদরের পরিবার বিশ্বাস করে যে তিনি লিবিয়ার কোনো কারাগারে বেঁচে আছেন। তবে লেবাননের বেশির ভাগ লোক মনে করে, তিনি মারা গেছেন। এখন তার বয়স ৯৪ বছর।
লিবিয়া বলছে, আল-সদর তার দুই সাথীকে নিয়ে ১৯৭৮ সালে ত্রিপোলি ত্যাগ করে রোম রওনা হয়েছিলেন। তিনি শিয়া গ্রুপগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছিলেন।
সূত্র : আল জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা