আল-শাবাবের জন্য সরবরাহ করা সামরিক চালান আটক করা হয়েছে : সোমালিয়ার সরকার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ মে ২০২৩, ১৫:০৪
সোমালিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (এনআইএসএ) বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা সামরিক সরঞ্জাম এবং বিস্ফোরক সামগ্রীর দুটি অবৈধ চালান আটক করেছে। এগুলো দৃশ্যত আল-শাবাব উগ্র গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হচ্ছিল।
মোগাদিসুতে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমালিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী হাগা বলেন, সংস্থাটি মোগাদিসুর বন্দর এবং বিমানবন্দরে অস্ত্রগুলো খুঁজে পেয়েছে।
এনআইএসএ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ চালান সম্পর্কিত তদন্তের মাধ্যমে একটি চোরাচালান চক্রের সাথে যুক্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাগা বা এনআইএসএ, কারো পক্ষ থেকেই জব্দ করা চালানে কী ধরনের পণ্য রয়েছে, সেগুলো কোথা থেকে এসেছে বা এর সাথে জড়িতদের পরিচয় সম্পর্কে বিশদ কিছু জানানো হয়নি।
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা
গৃহযুদ্ধ ও উপদলীয় সহিংসতার কারণে, ১৯৯২ সালে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ সোমালিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
২০১২ সালে একটি কার্যকরী অন্তর্বর্তী-সরকার প্রতিষ্ঠার পর, পরবর্তী সরকারগুলো দেশটিতে স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় পুনস্থাপনের জন্য কাজ করছে যা কিনা দেশটিতে আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে সহায়তা করছে।
২০১৩ সালে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে এক বছরের জন্য সোমালিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তুলে নেয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
প্রস্তাবটি সোমালিয়ার সরকারকে তার নিরাপত্তা বাহিনীর উন্নয়নে এবং উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য কিছু ক্ষুদ্র অস্ত্র কেনার অনুমতি দেয়। তবে, ভারী অস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধ বজায় রাখে।
অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলোর আওতায়, কিছু বিশেষ ধরণের অস্ত্র সংগ্রহের জন্য অনুমোদনের অনুরোধ প্রয়োজন হয়। আর সেগুলো প্রতিবছর নবায়ন করা হয়। আল-শাবাব এখনো এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এ কারণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা প্রয়োজন; দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এমন আপত্তির পরও অস্ত্র সংগ্রহের অনুমোদন নবায়ন করতে হয়।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা