২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বুরকিনা ফাসোর হত্যকাণ্ডে ১৩৬ জন নিহত

বুরকিনা ফাসোর হত্যকাণ্ডে ১৩৬ জন নিহত - ছবি : সংগৃহীত

বুরকিনা ফাসোর হত্যাযজ্ঞে যারা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সেই সব অধিবাসীরা শনিবার জানিয়েছেন যে নারী ও শিশুসহ ১৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এপ্রিল মাসের এই হত্যকাণ্ডের জন্য দিশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে দোষারোপ করেন।

এ রকম খবর ছড়িয়ে পড়ায় যে হত্যাকারীরা, যারা বুরকিনাবের সশস্ত্র বাহিনীর পোশাক পরে ছিল তারা প্রায় ৬০ জন অসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, উত্তরাঞ্চলের কার্মা গ্রামে ও আশপাশের এলাকায় ঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে একজন প্রসিকিউটার তদন্ত শুরু করেছেন।

দেশটি যখন আলক্বায়দা এবং ইসলামি স্টেটের সাথে সম্পৃক্ত সশস্ত্র উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ছে তখন এই অন্যতম জঘন্যতম হামলা ব্যাপক নিন্দার জন্ম দিয়েছে এবং জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতরের প্রতি তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুরকিনা ফাসো হচ্ছে অনেকগুলো পশ্চিম আফ্রিকি দেশগুলোর মধ্যে একটি যারা ইসলামি উগ্রবাদের উত্থানের বিরুদ্ধে লড়ছে যা কীনা গত এক দশকে পাশের দেশ মালি থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে হাজার হাজার লোক নিহত এবং ২০ লাখেরও বেশি লোক গৃহচ্যূত হয়েছেন।

দেশের সামরিক সরকার বড় রকমের আক্রমণাত্মক অভিযান শুরু করেছে এবং তারা বলছে ‘এর লক্ষ্য হচ্ছে, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দ্বারা দখল করা ভূমিকে আবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।

সরকার ২৭ এপ্রিল দেয়া এক বিবৃতিতে কার্মার উপর এই হামলার নিন্দা করেছে কিন্তু হতাহত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি। তার পর থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

সেখানকার অধিবাসী এবং প্রাণে যারা রক্ষা পেয়েছেন তারা শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, ২০ এপ্রিল ভোর থেকে মোটরসাইকেলে, পিক আপ ট্রাকে, সাঁজোয় গাড়িতে আসা বুর্কিনাবে সামরিক বাহিনীর পোশাক পরা ভারী অস্ত্র সজ্জিত লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের আগমনে প্রথমে গ্রামবাসীরা আনন্দ প্রকাশ করে কিন্তু মূহূর্তেই বন্দুকের গুলিতে তাদের সব আনন্দ ধূলিস্মাৎ হয়ে যায়। বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে- তারা গুনে দেখেছে যে ১৩৬ জন অসামরিক লোক নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement