২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বন্যপ্রাণী আইন কঠোর করায় উগান্ডায় হাতিরা ফিরছে

বন্যপ্রাণী আইন কঠোর করায় উগান্ডায় হাতিরা ফিরছে। - ছবি : সংগৃহীত

বন্যপ্রাণী শিকারিদের হাত থেকে উগান্ডার ন্যাশনাল পার্ক রক্ষায় কাজ করেন মার্গারেট কাসুম্বা৷ কাজটা খুব বিপজ্জনক৷ তিনি বলেন, ‘'মাঝেমধ্যে আমাদের এমনসব শিকারির সাথে লড়তে হয় যাদের কাছে আমাদের মতোই অস্ত্র থাকে৷ সশস্ত্র বন্যপ্রাণী শিকারি৷ অনেকসময় প্রাণী শিকার করতে তারা অস্ত্র নিয়ে আসে৷ আমাদেরও অস্ত্র রাখতে হয় এবং তাদের সাথে লড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়৷'

রেঞ্জারদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে উগান্ডায় হাতির সংখ্যা বেড়ে এখন ৫ হাজার পর্যন্ত হয়েছে৷ তবে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি৷

২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ রেকর্ড পরিমাণ হাতির দাঁত উদ্ধার করেছিল। ওজনে যা ৩ টনের বেশি ছিল৷ দাঁতের এই পরিমাণ থেকে ধারণা করা যায়, শিকারিদের হাতে সাড়ে ৩০০রও বেশি হাতি মারা পড়েছে৷

কাসুম্বা জানান, 'প্রতিবছর গড়ে আমরা প্রায় ৪০০ জনের বিচার করি৷ বন্যপ্রাণী পাচার, শিকার, অবৈধভাবে বনে প্রবেশসহ নানা অপরাধে এসব বিচার হয়ে থাকে৷'

ন্যাশনাল পার্কগুলোর মধ্যে নিয়মিত সশস্ত্র টহল দেয়ার মাধ্যমে শিকারিদের সবসময় চাপে রাখতে হয়৷

উগান্ডার একটি বড় লক্ষ্য আছে: বনে সাদা গন্ডার ফিরিয়ে আনতে চায় দেশটি৷ ৪০ বছর আগে শিকারিদের কারণে তারা হারিয়ে গিয়েছিল৷

বর্তমানে উগান্ডার একমাত্র জিওয়া অভয়ারণ্যে সাদা গন্ডার আছে৷ ৩৩টি গন্ডারকে সারাক্ষণ পাহারা দিয়ে রাখেন রেঞ্জাররা৷

মার্গারেট কাসুম্বা বলেন, ‘আমরা আমাদের বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়িয়েছি, আরো বাড়াচ্ছি৷ নতুন কয়েকজন এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ শিগগিরই তা শেষ হবে৷ এরপর তারা দলে যোগ দিয়ে বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ শুরু করবে৷ অপরাধ ধরার কৌশলও আমরা উন্নত করেছি৷ অপরাধ শনাক্ত করতে আমাদের তদন্ত বিভাগকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে৷'

তিনি বলছেন, শিকারিদের ধরে বিচার করাও গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০১৯ সালে সরকার বন্যপ্রাণী শিকার ও বেচাকেনার অপরাধের শাস্তি বাড়িয়েছে৷ ‘নতুন আইনের কারণে আমাদের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে৷ কারণ অপরাধীরা এখন জানেন, অপরাধ করে ধরা পড়লে তাদের কী ধরনের শাস্তি পেতে হবে।'

উগান্ডায় বন্যপ্রাণী শিকার, পাচার ও এসব প্রাণীদের দিয়ে তৈরি পণ্য বিক্রির শাস্তি দিতে বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে৷ অপরাধের শাস্তিও এখন অনেক বেশি৷

সম্প্রতি হাতির দাঁতের এক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷

কাসুম্বা বলেন, ‘আমার কাছে এটা বড় অর্জন, কারণ আমরা সবাই এটা চেয়েছিলাম৷ বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের জন্য আমাদের একটি আদালত আছে৷ এটা আমার কাছে অনেক বড় অর্জন৷ আগে হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো মামলার সাথে আমাদের লড়তে হত৷ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার সাথে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত মামলার কথা আপনি ভাবতে পারেন? কোন শুনানিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে আপনার মনে হয়?'

সাম্প্রতিক সময়ে হাতির সংখ্যা বেড়েছে৷ এছাড়া বিপন্নপ্রায় পাহাড়ি গরিলার সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে৷

মার্গারেট কাসুম্বা এখন আশা করছেন সাদা গন্ডাররাও শিগগিরই বনে ফিরবে৷

২০১৯ সালে উগান্ডায় বন্যপ্রাণী রক্ষার আইন কঠোর করা হয়৷ এ কারণে দেশটিতে হাতির সংখ্যা বেড়েছে৷ এবার সাদা গন্ডারদেরও বনে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে৷ প্রায় ৪০ বছর আগে শিকারিদের কারণে তারা হারিয়ে গিয়েছিল৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
‘বাবা বলে ডাকতে পারি না’ বিএনপি নির্বাচন চায় দেশকে রক্ষার জন্য : মির্জা ফখরুল জাতীয় ঐক্যের মধ্যদিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : গোলাম পরওয়ার সাঙ্গু নদীতে নৌকা বাইচের মাধ্যমে শুরু হলো বান্দরবানে সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া মেলা ফার্মগেটে ৭ তলা ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেনের ডনেটস্ক অঞ্চলের গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া পর্ণো তারকাকে অর্থ দেয়ার মামলা খারিজের আবেদনের অনুমতি পেলেন ট্রাম্প দোহারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর নামে ছাত্রলীগ নেতার মামলা ‘কোরআন-সুন্নাহর আদর্শ ছাড়া আলেমদের জন্য রাজনীতি জায়েজ নেই’ চীনা দূতাবাসের আউটস্ট্যান্ডিং পার্টনার অ্যাওয়ার্ড অর্জন অ্যাবকার ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু

সকল