সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে হাজারো মানুষ কেনিয়ায় পালাচ্ছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৫
সোমালিয়ায় খরা ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে হাজারো মানুষ কেনিয়ার উত্তর সীমান্তের শহর দাবআবে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট অঞ্চলে ছুটছে।
রাহো আলী তার চার সন্তানকে নিয়ে সোমালিয়া থেকে কেনিয়ার উত্তর সীমান্তের শহর দাবআবে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী হাইকমিশনারের ট্রানজিট অঞ্চলে পৌঁছেছেন।
সাত সন্তানের জননী ৪৫ বছর বয়সী রাহো জানান, সোমালিয়ার ভয়াবহ খরার কারণে তিনি পালিয়ে এসে কেনিয়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই ভয়ঙ্কর যাত্রার সময় একপর্যায়ে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। সে সময় তিনি তার তিন সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন। তিনি এখনো তাদেরকে খুঁজে পাননি।
এই খরার কারণে রাহো আলীর মতো আরো হাজার হাজার মানুষ কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন।
কেনিয়ার সরকার সোমালিয়ার সাথে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে নতুন শরণার্থী নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে তারা ৮০ হাজার নবাগত শরণার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অত্যধিক শরণার্থী আগমনে তাদের সহায়তা দেয়ার সক্ষমতার ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে।
দাবআবে ইউএনএইচসিআরের প্রধান গাই আভোগনন বলেন, নতুন শরণার্থীদের ঢেউ আমাদের কাজের পরিধি অনেক বাড়িয়েছে। এতে আমাদের রসদের ওপর চাপ পড়েছে, কারণ এ মুহূর্তে এই কর্মসূচি দাতাদের কাছ থেকে খুব একটা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে না। এ কারণে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ন্যূনতম সহায়তা দিতে বাধ্য হচ্ছি।
টানা পাঁচ বছর ধরে বর্ষাকালে যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, আফ্রিকার শিং নামে পরিচিত এই দেশটির খরা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। সোমালিয়ার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ায় ধারণা করা যাচ্ছে, শিবিরগুলোতে শরণার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে।
মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই সঙ্কটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কমতে থাকা মনোযোগের বিষয়টি নিয়ে তারা শঙ্কায় আছেন। তারা আরো ত্রাণের আবেদন জানিয়েছেন।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা