২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার বাড়ছে

উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার বাড়ছে - ছবি : সংগৃহীত

উগান্ডায় মারাত্মক ইবোলা ভাইরাসের একটি অত্যন্ত সংক্রামক প্রকরণের প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এক সপ্তাহ আগে উগান্ডার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইবোলার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেছিলেন। পাঁচ দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর তারা নিশ্চিত করেন ৩৬ জন এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ২৩ জন মারা গেছেন।

২০১২ সাল থেকে উগান্ডায় সুদান ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট প্রথমে ইবোলা রোগ দেখা দেয়। প্রাপ্তবয়স্কদেরকে ইবোলার আরো সাধারণ প্রকরণ জায়ারে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। তবে সুদান ভাইরাসের জন্য অনুরূপ কোনো ভ্যাকসিন নেই।

হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামে মহামারীর জন্য ডব্লিউএইচও আর এন্ড ডি ব্লুপ্রন্টের সহ-নেতৃত্ব আনা ম্যারি হেনাও-রেস্ট্রেপো বলেন, বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে।

সংক্রমিত রোগীর রক্ত বা শারীরিক তরলের সংস্পর্শে ইবোলা ভাইরাস ছড়ায়। ডব্লিউএইচও প্রতিবেদনে বলেছে, উগান্ডায় সংক্রমিতদের গড় বয়স ২৬ বছর। তার মধ্যে ৬২ শতাংশ নারী এবং ৩৮ শতাংশ পুরুষ। এই রোগে মৃত্যুর হার ৪১ শতাংশ।

ডব্লিউএইচও-এর মুখপাত্র কার্লা ড্রিসডেল বলেন, ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞরা রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে উগান্ডার অভিজ্ঞ ইবোলা নিয়ন্ত্রণ দলের সাথে কাজ করছেন।

উগান্ডা যখন ইবোলার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচার জন্য লড়াই করছে, সে সময় মঙ্গলবার গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ঘোষণা করেছে, ছয় সপ্তাহ আগে উত্তর কিভু প্রদেশে শুরু হওয়া ইবোলা প্রাদুর্ভাব শেষ হয়েছে। উত্তর কিভুতে জায়ার ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন রয়েছে। তারা ইবোলা সংক্রমণের একটি ঘটনা নিশ্চিত করেছে এবং কোনো মৃত্যু হয়নি বলে জানায়।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement