২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে কঠিন মানবিক সঙ্কটে দক্ষিণ সুদান

স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে কঠিন মানবিক সঙ্কটে দক্ষিণ সুদান - ছবি : সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন যে ২০১১ সালের জুলাইয়ে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ সুদান সবচেয়ে খারাপ মানবিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় পরে এখনো দেশটি সংঘাতে জর্জরিত। একাধিক প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয়ে পর্যুদস্ত এবং ব্যপক খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখীন।

দক্ষিণ সুদানের জন্য জাতিসঙ্ঘের মানবিক সমন্বয়কারী সারা বেসোলো নিয়ান্তি বলেছেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য সংগ্রামরত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর আরো বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্য ও হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। এ অবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক।

তিনি বলেন, মানবিক প্রয়োজনের জন্য এই বছর আমাদের ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। এছাড়া উন্নয়ন ও শান্তি বিনির্মাণ, সামাজিক সংহতি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যও তহবিল প্রয়োজন।

মানবিক সহায়তা দক্ষিণ সুদানের জনগণের সমস্যার সমাধান করবে না। যারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তাদের সুরক্ষা এবং দেখভাল করার পাশাপাশি যেখানে সম্ভব সেখানেই এখনই সক্ষমতা তৈরি করা শুরু করতে হবে।

নিয়ান্তি বলেন, যারা নিজেরাই নিজেদের খাবার জোগাড় করতে পারে তাদের ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অবশ্য তীব্র খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন এমন প্রায় ৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষকে খাদ্য সরবরাহের প্রাথমিক প্রয়োজন স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন যে লাখ লাখ লোক নিরাপদ পানীয় এবং স্যানিটেশন বা চিকিৎসা সেবার অভাবে রয়েছেন, তাদের সহায়তা দেয়া উচিত। তিনি বলেন, ধর্ষণসহ সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও লিঙ্গভিত্তিক যৌন সহিংসতার শিকার দুর্বল ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মানবিক সমন্বয়কারী নিয়ান্তি বলেন, দক্ষিণ সুদানে উন্নয়নে বিনিয়োগ করা এবং জনগণের স্বাবলম্বী হওয়ার সক্ষমতা বাড়ালে আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর দেশটির নির্ভরতা কমে যাবে। তিনি বলেন, মানুষকে নিজের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করার সুবিধা অনস্বীকার্য।


আরো সংবাদ



premium cement