গিনি-বিসাউয়ে অভ্যুত্থান চেষ্টা, পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ বললেন প্রেসিডেন্ট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:০৬
আবার সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে পশ্চিম আফ্রিকায়। বুরকিনা ফাসোতে অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহের ব্যবধানেই আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী গিনি-বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হলো।
তবে মঙ্গলবারের এই অভ্যুত্থান চেষ্টাকে প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানান গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো।
পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট এমবালো বলেন, ‘আমি গিনি-বিসাউয়ের জনগণ ও দেশের বাইরে থেকে যারা আমাদের সরকার ও আমার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র জিন্দাবাদ এবং খোদা গিনি-বিসাউকে হেফাজত করুন।’
Je vais bien Alhamdoulillah. La situation est sous contrôle gouvernemental. Je remercie la population de Guinée Bissau et toutes les personnes au delà de notre pays qui se sont inquiétées pour mon gouvernement et moi. Vive la République et que Dieu veille sur la Guinée-Bissau.
— Umaro Sissoco Embaló (@USEmbalo) February 1, 2022
মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক সংবাদ সম্মেলনে অভ্যুত্থানকারীদের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশের চেষ্টাকে ব্যর্থ করা হয়েছে বলে জানান এমবালো।
বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালে হামলাকারীরা প্রাসাদে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি শুধু অভ্যুত্থান চেষ্টাই নয়। এটি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পুরো মন্ত্রিসভাকে হত্যার চেষ্টা।
এমবালো বলেন, ‘এই হামলা সুপরিকল্পিত ও সুসংগঠিত। এটি মাদক চোরাচালানকারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।’
দুর্নীতি ও দুর্বল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যবস্থার সুযোগে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে মাদকদ্রব্য কোকেইন চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে গিনি-বিসাউ পরিচিত।
তবে কারা কী উদ্দেশ্যে এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে তা জানা যায়নি। অভ্যুত্থানের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান এমবালো।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ভারী অস্ত্রসজ্জ্বিত একটি দল রাজধানী বিসাউয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশের পর দলটি প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু করে। গোলাগুলির শব্দে লোকজন ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যান।
এই সময় প্রেসিডেন্ট এমবালো মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৪ সালে গিনি-বিসাউ পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়। তারপর থেকে অন্তত বারো বার দেশটিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে।
সূত্র : আফ্রিকা নিউজ, রয়টার্স ও আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা