বুরকিনা ফাসোতে অভ্যুত্থান, জাতিসঙ্ঘের নিন্দা
সামরিক বাহিনীর সমর্থনে রাজধানীতে সমাবেশ- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪০, আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৩
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রচ বাবোরেকে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সামরিক বাহিনীর একটি অংশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
এর আগে রোববার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও দেশটিতে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে ‘পর্যাপ্ত সম্পদ’ বরাদ্দের দাবিতে রাজধানী ওয়াগাদোগুসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে সামরিক ব্যারাকে বিদ্রোহ শুরু হয়।
সোমবার বিদ্রোহী সৈন্যরা প্রেসিডেন্টকে বন্দি করে দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের ঘোষণা দেয়। প্যাটরিওটিক মুভমেন্ট ফর সেফগার্ডিং অ্যান্ড রেসটোরেশন (এমপিএসআর) বলে নিজেদের পরিচয় দেয়া বিদ্রোহী এই সৈন্যদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশের সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার এবং সংবিধান স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। সাথে সাথে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাত্রিকালীন কারফিউ জারির ঘোষণা দেয়া হয়।
বুরকিনা ফাসোতে অভ্যুত্থানের জেরে মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস নিন্দা জানিয়েছেন।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের নেতাদের অবশ্যই তাদের অস্ত্র নামাতে হবে এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।’
I am following developments in Burkina Faso with deep concern & strongly condemn any attempt to take over a government by the force of arms.
— António Guterres (@antonioguterres) January 24, 2022
Coup leaders must lay down their arms & ensure the safety of the President and the protection of the country’s institutions.
এদিকে অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক শ’ লোক সামরিক বাহিনীর সমর্থনে রাজধানী ওয়াগাদোগুতে সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে সামরিক অভ্যুত্থানের সমর্থক লাসানে ওয়েদরাগো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট কাবোরেকে কয়েক বার ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনেননি। সামরিক বাহিনী আমাদের কথা শুনেছে ও অনুধাবন করেছে।’
সমাবেশে আসা জুলিয়ান তরাওরে নামের ৩০ বছর বয়সী এক শিক্ষক বলেন, ‘এটি সামরিক অভ্যুত্থান নয়। এটি অযোগ্য লোকদের শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করা।’
ওয়াগাদোগু থেকে সাংবাদিক স্যাম ম্যাডনিক জানান, দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতি বিপুল সমর্থন রয়েছে।
বুরকিনা ফাসোতে ২০১৫ সালে এক গণবিক্ষোভের জেরে দেশটিতে তিন দশক ক্ষমতায় থাকা একনায়ক ব্লাইজ কম্পোরে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরে।
২০২০ সালের সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসেন রচ কাবোরে।
তবে দেশটিতে উগ্রবাদী হামলা বেড়ে যাওয়ার জেরে তার সাথে সামরিক বাহিনীর অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
অসন্তোষের জেরে রোববার অভ্যুত্থান করে সামরিক বাহিনী। এর মাধ্যমে ১৮ মাসের ব্যবধানে পশ্চিম আফ্রিকার চতুর্থ দেশে সামরিক শাসন জারি হলো।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা