২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আরব বসন্ত পরবর্তী তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড

মুনসেফ মারজুকি - ছবি : সংগৃহীত

আরব বসন্ত পরবর্তী তিউনিসিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট মুনসেফ মারজুকিকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় ‘হামলার’ অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির এক আদালত। বুধবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানানো হয়।

বর্তমানে ফ্রান্সে বাস করা ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট তিউনিসিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের সমালোচনা করে আসছেন। একই সাথে কায়েস সাইদের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য তিউনিসিয়ার জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ’দেশের বাইরে থেকে দেশের নিরাপত্তার ক্ষতি করা’ এবং ‘কূটনীতিক বিঘ্ন’ ঘটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মারজুকিকে তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।

এদিকে আদালতের রায়ের জেরে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই রায়কে অন্যায় হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন মুনসেফ মারজুকি।

তিনি বলেন, ‘এই রায় এমন এক অবৈধ প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন যিনি সংবিধানকে পাল্টে দিয়েছেন।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রকৃত ঘটনার সম্পূর্ণ বিপরীত এবং এই রায় মূলত প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের ওপর প্রযোজ্য।

মারজুকি বলেন, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি তার দেশের 'একনায়কতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবেন। এই রায়ের আপিলের জন্য তিনি কোনো আইনজীবীর আবেদন করবেন না বলে জানান।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে মুনসেফ মারজুকির আইনজীবী লামিয়া খামিরি জানান, মারজুকি আদালত থেকে কোনো সমন পাননি এবং তিনি (লামিয়া খামিরি) নিজেও জানেন না কি কারণে মারজুকিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গত ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।

পরে ২৩ আগস্ট 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

অপরদিকে ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জোরদার করেন সাইদ।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করে আসছে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে ২৪ বছর দেশটি শাসন করা একনায়ক জাইন আল আবেদীন বিন আলী ক্ষমতাচ্যুৎ হন। এর পর থেকেই গত দশ বছর ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক শাসন উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালু ছিলো।

২০১১ সালেই আরব বসন্ত পরবর্তী তিউনিসিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুনসেফ মারজুকি। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল