২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মারজুকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মুনসেফ মারজুকি - ছবি : সংগৃহীত

তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুনসেফ মারজুকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তিউনিসিয়া।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টিএপিতে এই খবর জানানো হয়।

২০১১ সালে আরব বসন্ত পরবর্তী তিউনিসিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কি অপরাধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে টিএপির খবরে বলা হয়, তিউনিসের ফার্স্ট ইন্সটেন্স কোর্টের যোগাযোগ দফতর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

অবশ্য তিউনিসিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানার জেরে ইন্টারপোল এখনো কোনো আদেশ জারি করেনি।

বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করা মুনসেফ মারজুকি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জানান, এতে তিনি বিস্মিত হননি।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা সকল তিউনিসিয়ানদের বিরুদ্ধে হুমকি।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তিউনিসিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ফরাসিভাষী সম্মেলনের বিষয়ে এক বিবৃতি দেন মুনসেফ মারজুকি।

ফরাসি টিভি চ্যানেল ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরকে তিনি বলেন, তিউনিসিয়ায় এই সম্মেলন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের 'অভ্যুত্থানের' মাধ্যমে দেশের পূর্ণ ক্ষমতা দখলকেই স্বীকৃতি দেবে। এই লক্ষ্যে তিনি সম্মেলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।

২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় জনতার বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন দেশটির দীর্ঘদিনের একনায়ক জাইন আল-আবেদীন বিন আলী। ওই বছর দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মারজুকি।

২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুনসেফ মারজুকি।

তিউনিসিয়ায় গণবিক্ষোভের এই ঘটনা আরব বসন্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং পরে একইভাবে তা মিসর, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ অন্য আরব দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

গত ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।

পরে ২৩ আগস্ট 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

অপরদিকে ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জোরদার করেন সাইদ।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করে আসছে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে ২৪ বছর দেশটি শাসন করা একনায়ক জাইন আল আবেদীন বিন আলী ক্ষমতাচ্যুৎ হন। এর পর থেকেই গত দশ বছর ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক শাসন উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালু ছিলো।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement