ক্ষমতা জোরদারে অধ্যাদেশ জারি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:০২
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ নিজের ক্ষমতা জোরদারে এক অধ্যাদেশ জারি করেছেন।
বুধবার জারি করা এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কায়েস সাইদ জানান, অধ্যাদেশের মাধ্যমে তিনি নির্বাহী ক্ষমতার অনুশীলন করবেন এবং রাজনৈতিক পদ্ধতির পরিবর্তনের জন্য সংবিধানের কিছু অংশকে উপেক্ষা করবেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়, তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনে সাইদ একটি কমিটি প্রস্তুত করবেন। এই সময় সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত থাকবে।
এতে বলা হয়, পার্লামেন্টের কার্যক্রমও এই সময় স্থগিত থাকবে।
তিউনিসিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও দেশে চলমান সংকট উত্তরণের পন্থা প্রকাশে দেশটির রাজনৈতিক দল ও পশ্চিমা সহায়কদের প্রেসিডেন্ট সাইদের ওপর চাপ সৃষ্টির মধ্যেই এই অধ্যাদেশ জারি করা হলো।
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের নতুন এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
দেশটির স্থগিত পার্লামেন্টের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান রশিদ গানুশি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, এই অধ্যাদেশের অর্থ সংবিধানের লঙ্ঘন করা এবং আননাহদা একে কখনোই গ্রহণ করবে না।
গত ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।
পরে ২৩ আগস্ট 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।
তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করে আসছে।
২৬ জুলাই দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান ও পার্লামেন্ট স্পিকার রশিদ গানুশিসহ দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও সমর্থকরা রাজধানী তিউনিসে পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের সমর্থকরাও পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। একইসাথে তিনজনের বেশি লোককে প্রকাশ্যে জমায়েত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো।
এছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন কায়েস সাইদ। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে দেশটিতে গৃহবন্দী করা হয়েছে।
তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের এসব পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসার শঙ্কায় আছেন।
২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে ২৪ বছর দেশটি শাসন করা একনায়ক জাইন আল আবেদীন বিন আলী ক্ষমতাচ্যুৎ হন। এর পর থেকেই গত দশ বছর ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক শাসন উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালু ছিলো।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা