২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তিউনিসিয়ায় গৃহবন্দী আননাহদার নেতা

আনোয়ার মারুফ - ছবি : সংগৃহীত

তিউনিসিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার মারুফকে গৃহবন্দী করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যগুলো এই খবর জানায়।

সাবেক যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী আনোয়ার মারুফ আননাহদার প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে অন্যতম। গত ২৫ জুলাই তারিখে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিত করে নিজের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা তুলে নেয়ার পর আনোয়ার মারুফ আননাহদার প্রথম নেতা, যার বিরুদ্ধে গৃহবন্দিত্বের আদেশ দেয়া হলো।

কায়েস সাইদের এই পদক্ষেপকে আননাহদাসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিহিত করেছে।

আনোয়ার মারুফের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এর আগে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ বৃহস্পতিবার বলেন, পার্লামেন্ট স্থাগিত করে তিউনিসিয়ার নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, তার থেকে পিছু হটবেন না তিনি।

সাইদের এমন ঘোষণার একদিন পরেই আনোয়ার মারুফকে গৃহবন্দী করা হলো।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক ভিডিও চিত্রে কায়েস সাইদকে বলতে শোনা যায়, 'সৎ ব্যক্তি ছাড়া কারো সাথে সংলাপ হবে না' এবং 'ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের' সাথে কোনো প্রকার সংলাপ সম্ভব নয়।

এর আগে তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলো আননাহদা।

করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ২৫ জুলাই আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও নিজের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করছে।

প্রেসিডেন্টের আদেশের জেরে ২৬ জুলাই দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান ও পার্লামেন্ট স্পিকার রশিদ গানুশিসহ দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও সমর্থকরা রাজধানী তিউনিসে পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের সমর্থকরাও পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। একইসাথে তিনজনের বেশি লোককে প্রকাশ্যে জমায়েত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি।

এছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন কায়েস সাইদ। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে দেশটিতে গৃহবন্দী করা হয়েছে।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের এসব পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসার শঙ্কায় আছেন।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই


আরো সংবাদ



premium cement

সকল