পদত্যাগ করার জন্য তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পেটানো হয়েছিল?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জুলাই ২০২১, ১৬:৩১, আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১, ১৬:৩৪
পদত্যাগ করার আগে তিউনিসিয়ার পদচ্যুৎ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এই অভিযোগ করা হয়।
তবে হিশাম মাশিশি তাকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
খবরে বলা হয়, পদত্যাগ করতে রাজি না হওয়ায় হিশাম মাশিশিকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। মারপিটের পর হিশাম পদত্যাগ করতে রাজি হন।
এর আগে বুধবার সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হিশাম মাশিশিকে পিটিয়ে পদত্যাগে রাজি করানোর বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়।
রোববার তিউনিসিয়ায় রাজধানী তিউনিসসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিত করার আদেশ দেন। তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করছে।
দ্যা মাগরেব স্ট্রিট সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হিশাম মাশিশি বলেন, তাকে পেটানো হয়নি এবং তাকে পদত্যাগ করতে জোর করা হয়নি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করছি যে আমার ওপর কোনো সহিংসতা চালানো হয়েছিল।'
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে হিশাম মাশিশি বলেছেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলছি যে আমার ওপর কোনো সহিংসতা চালান হয়নি।
তবে মিডল ইস্ট আই তাদের খবর যথার্থ বলে জানিয়ে মন্তব্য করেছে, খবর প্রকাশের আগে তারা এই বিষয়ে কথা বলার জন্য তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মিডল ইস্ট আইয়ের খবর অনুসারে, রোববার তিউনিসিয়ার পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ তার প্রাসাদে ডেকে পাঠান। হিশাম ওই প্রাসাদে গেলে তাকে পদচ্যুত করার কথা জানান কায়েস সাইদ। এছাড়া দেশটির পার্লামেন্ট স্থগিত করা এবং দেশটির শাসন চালাতে একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
হিশাম মাশিশির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, মাশিশির সাথে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা ওই সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে কিছু জানতেন না। অপরদিকে তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনী এই বিষয়ে আগে থেকে অবহিত ছিলো।
অপরদিকে করোনা চিকিৎসার পর মাত্র হাসপাতাল ছাড়ার কারণে পার্লামেন্টের স্পিকার ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান রশিদ গানুশি প্রেসিডেন্টের আহ্বান এড়াতে সক্ষম হন।
হিশাম মাশিশির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, হিশাম মাশিশিকে পদত্যাগ করার জন্য বলা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। বারবার পদত্যাগ করতে অস্বীকারের পর তাকে পেটানো হয়।
মারধরের পর তিনি পদত্যাগ করতে রাজি হন। তবে পদত্যাগের পর জনসম্মুখে দেখা না যাওয়ায় তার আঘাত কতটুকু গুরুতর তা প্রকাশ্য হয়নি।
হিশাম মাশিশি বর্তমানে তার বাড়িতেই রয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। তবে এই তথ্যও তিনি অস্বীকার করেছেন।
মিডল ইস্ট আই হিশাম মাশিশির ঘনিষ্ঠ সূত্রে আরো জানতে পেরেছে, মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ওই সময় তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো সময় কায়েস সাইদকে পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
ওই সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে যে মিসরের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের তিউনিশিয়ায় পাঠিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সিসিকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেছেন আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা