২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইসরাইলি দূত বহিষ্কারে মরক্কোয় চলছে প্রচারণা

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে মরক্কোবাসীদের বিক্ষোভ - ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের ওপর সাম্প্রতিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর আফ্রিকার আরব দেশ মরক্কোতে চলছে ইসরাইল বিরোধী প্রচারণা ও বিক্ষোভ। এর অংশ হিসেবেই দাবি উঠেছে রাবাতে অবস্থিত ইসরাইলের লেইজনের প্রধান ডেভিড গোভরিনকে মরক্কো থেকে বহিষ্কারের।

আরবিতে 'দখলদার শক্তির প্রতিনিধিকে বহিষ্কার করো' (#اطردوا_ممثل_الكيان_المحتل) হ্যাশট্যাগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব প্ল্যাটফর্মেই মরক্কো থেকে ইসরাইলি দূতকে বহিষ্কারের জোর প্রচারণা চলছে। ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতিতে অনেকেই নিজেদের প্রোফাইল পিকচারে নিজেদের ছবির পরিবর্তে ফিলিস্তিনি পতাকা, মানচিত্র বা ডোম অব রকের ছবি আপলোড করছেন।

মরক্কোর সাংবাদিক হাসান আল-ইউসুফি তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লিখেন, 'রাজধানী রাবাতের বাসিন্দারা তাদের মাঝে বাস করা করা ইসরাইলি লিজিয়ন অফিসের প্রধান ডেভিড গোভরিনকে মানতে অস্বীকার করেছেন।'

মরক্কো থেকে ইসরাইলি দূত বহিষ্কারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার চিত্র- ছবি : সংগৃহীত

 

অপরদিকে অ্যাক্টিভিস্ট রাশিদ বিরম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'দখলদারদের প্রতিনিধিকে মরক্কোয় বরণ করা হচ্ছে না। আমাদের ডিজিটাল প্রচারণায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অন্তত আমরা ফিলিস্তিন, জেরুসালেম ও মসজিদুল আকসায় আমাদের জনগণকে সমর্থন জানাতে পারি। জায়নবাদিদের আবর্জনা থেকে মরক্কোকে মুক্ত করা না পর্যন্ত আমাদের এতে অংশগ্রহণ জরুরি।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের বছরের পর বছর চালানো অপরাধ ও অনাচারের চিত্র ও ভিডিও শেয়ার করেন। এতে অনেকেই লেখেন, 'কিছুই পরিবর্তিত হয়নি এবং পরিবর্তন হবে না যতক্ষণ না আমরা দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসবো।'

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ইসরাইলি দূতের মরক্কোয় সফর করা স্থানে গিয়ে তা পরিষ্কার করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ইসরাইলি দূতের ভ্রমণ করা স্থান পরিষ্কারের চিত্র- ছবি : সংগৃহীত

 

মরক্কোর সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে, রাবাতে ইসরাইলি কূটনীতিক লেইজনের উদ্বোধন না হওয়ায় এখনো হোটেলেই থাকছেন দেশটিতে ইসরাইলের প্রধান কূটনীতিক ডেভিড গোভরিন।

গত ১০ ডিসেম্বর ইবরাহিমী চুক্তির আওতায় ইসরাইল ও মরক্কোর মধ্যে স্বাভাবিক কূটনীতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় প্রণীত এই চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। পরে সুদান ও মরক্কো এই চুক্তিতে যোগ দেয়।

সূত্র : ফিলিস্তিনি সংবাদপত্র


আরো সংবাদ



premium cement