তিউনিসিয়ায় ক্ষমতার টানাপোড়েনে রাজনৈতিক সংকট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুন ২০২১, ১৫:৪৩, আপডেট: ০৮ জুন ২০২১, ১৬:২৪
তিউনিসিয়ার ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশি এবং পার্লামেন্ট স্পিকার রশিদ গানুশির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির প্রধান তিন নেতার মধ্যে এই দ্বন্দ্বের ফলে রাজনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে তিউনিসিয়া।
সংঘাতের শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশির মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের ঘনিষ্ঠদের সরিয়ে দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়াতে অস্বীকার করেন। bd news paper
অপরদিকে তিউনিসিয়ায় সফরকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাসের দূত ও আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র সামি আবু জুহরিকে সাক্ষাতে অস্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট সাইদ। ঘনিষ্ঠ সূত্রের তথ্য অনুসারে আবু জুহরি প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতের আগেই পার্লামেন্টের স্পিকার ও তিউনিসিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন আননাহদা আন্দোলনের প্রধান রশিদ গানুশির সাথে সাক্ষাত করায় ক্ষুব্ধ কায়েস সাইদ। বিষয়টিকে কূটনীতিক রীতির লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছেন তিনি।
bangladesh news,bd news,bd news paper,Bangladesh newspapers and Bangla news sites,Read BD news online from all Bangla newspaper,BD news agencies are also listed in the page,Bangla News Online,BD News,largest Bangla news sites
মাশিশি ও গানুশি সাম্প্রতিক সপ্তাহে বিদেশ সফরে গিয়েছেন। সাইদ তাদের স্মরণ করাতে চাইছেন, তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র সম্পর্কে নীতিনির্ধারণের অধিকারী তিনি। প্রেসিডেন্টের সমন্বয়েই যেকোনো কূটনীতিক যোগাযোগ ও নীতি নির্ধারণ করতে হবে। মাশিশি লিবিয়ায় সফরে যান এবং কাতার সফর করেন গানুশি।
তিউনিসীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুখতার কামুন দাবি করেন, 'গানুশি প্রেসিডেন্টের কূটনীতিক ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছেন। যদিও সম্প্রতি এই ক্ষেত্রে তৎপরতা কমিয়ে তিনি উত্তেজনা হ্রাসের চেষ্টা করছেন।'
কামুন বলেন, সরকারি আমন্ত্রণে কাতার সফর করেন রশিদ গানুশি। দোহা তিউনিসিয়ার সংঘাতরত দলগুলোর মধ্যে মীমাংসার জন্য এই আমন্ত্রণ করে, যেরকম সাবেক প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসেবসি ও রশিদ গানুশির মধ্যে সংঘাতের মীমাংসার করা হয়েছিল। কাতারিরা মাশিশির কাছে একই বার্তা দিয়েছে, যা তারা গানুশির কাছে দিয়েছে; তারা সাহায্য করতে চায় তবে তা কায়েস সাইদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমেই হতে হবে।
তিনি বলেন, 'তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক বিভক্তিতে একদিকে উপসাগরীয় দেশ ও মিসর এবং অপরদিকে তুরস্ক ও কাতারের বিরোধের জেরে সাইদের অবস্থান বর্হিবিশ্বে জোরালো হয়েছে।'
অপরদিকে আননাহদা দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য জামিলা কিসিকসি বলেন, কাতারের রশিদ গানুশির সফর আননাহদার পক্ষ থেকেই হয়েছিল। তিউনিসিয়ার ওপর কাতারের সমর্থন নিশ্চিত করা এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় কোনো চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি না হওয়ার বিষয়ে তিনি এই সফর করেন।
অন্যদিকে মাশিশি তিউনিসিয়ায় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আরব দেশগুলোতে সফর করছেন। দেশটির অর্থনৈতিক সংকট পূরণে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করে তার এই সফরকে সকলেই ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন না।
ডেমোক্রেটিক ব্লকের আবদুর রাজজাক আওইদাত বলেন, 'মাশিশি তার রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। রাষ্ট্রীয় বাজেট তৈরিতে ভিন্ন দেশের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়ে তার সাফল্য প্রমাণ করতে চাইছেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা