হাতি মেরে ফেলবে জিম্বাবুয়ে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ জুন ২০২১, ১৮:৩০
আফ্রিকায় হাতির সংখ্যা ভয়াবহভাবে কমলেও জিম্বাবুয়েতে বিপুল সংখ্যায় বাড়ছে। এখন জিম্বাবুয়ের বনের অন্যান্য প্রাণী ও বৃক্ষ বাঁচাতে দেশটিতে হাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে হত্যার বিধান চালু করা হয়েছে।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ জিম্বাবুয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশটিতে হাতির সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে এ হাতির সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে জিম্বাবুয়েতে ৪৫ হাজার হাতি প্রতিপালন করার মতো অবস্থা আছে।
অতিরিক্ত হাতির কারণে জিম্বাবুয়ের বনের পরিবেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। বাস্তুসংস্থানের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ অরাজকতা। হাতির অতিরিক্ত সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে গাছের সংখ্যা কমে গেছে। কারণ, হাতি তার প্রতিদিনের খাদ্য সংগ্রহের জন্য বিপুল পরিমাণ লতা-পাতা ও গাছ খেয়ে খাকে। অপরদিকে হাতির সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বাড়লে অন্যান্য প্রাণীরা বাসস্থান ও খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে পড়ে। এসব কারণে অতিরিক্ত হাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জিম্বাবুয়ের সরকার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপুল পরিমানে হাতি হ্ত্যার অনুমতি দিতে যাচ্ছে। ১৯৮৮ সালে দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে বনের অন্যান্য প্রাণী ও বৃক্ষগুলোকে রক্ষা করা যায়।
জিম্বাবুয়ের অভয়ারণ্য ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র টিনাসে ফারায়ো গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশে হাতির সংখ্যা খুবই বেশি।
কর্তৃপক্ষ এ অতিরিক্ত হাতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কারণ এ হাতিগুলো অন্যপ্রাণীদের বাসস্থান ধ্বংস করে দেয়। আবার মানুষের ওপরও হামলা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েক ডজন মানুষ হাতির আক্রমণে মারা গেছেন।
টিনাসে ফারায়ো গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ বনের গাছগুলোতে শকুনরা ডিম ফুটায় ও বাচ্চা দেয়। কিন্তু, এখন আর শকুনগুলো এ হাওয়ানজে পার্কে বাচ্চা দেয় না, তারা অন্য জায়গায় চলে গেছে। কারণ, হাতিরা গাছ উপড়ে ফেলে। এটা হাতিদের স্বভাব।
তিনি আরো বলেন, হাতি হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখনো এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু, বন্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক হত্যার বিধান জিম্বাবুয়ের আইনে আছে।
কিন্তু, জিম্বাবুয়ের পরিবেশ, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এক সংগঠন ‘সেন্টার ফর নেচারাল রিসোর্স গভার্নেন্স’ (সিএনআরজি) দেশটিতে অবৈধ প্রাণী শিকার নিয়ে কাজ করে। এ সংগঠনটির মুখপাত্র সিমিসো মেলিভু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এভাবে হাতি শিকার ও হত্যা করা অনুমতি দিলে এ প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সূত্র : আল-জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা