২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শরীরে ৩০ বার ধরন বদলেছে করোনা, ৩৬ বছর এইচআইভি পজিটিভ ওই নারী

শরীরে ৩০ বার ধরন বদলেছে করোনা, ৩৬ বছর এইচআইভি পজিটিভ ওই নারী -

৩৬ বছরের এক এইচআইভি পজিটিভ নারীর শরীরে ২১৬ দিন ধরে বাসা বেঁধে ছিল করোনাভাইরাস! সম্প্রতি এমনই এক রোগীর কথা জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা। কেবল অত দিন ধরে সংক্রমণ থাকাই নয়, ওই সময়ের মধ্যে ভাইরাস ৩০ বারের বেশি চরিত্র বদল করেছে বা মিউটেশন ঘটিয়েছে।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বকে রক্তচক্ষু দেখানো এই ভাইরাসের এমন কাণ্ড এর আগে চোখে পড়েনি গবেষকদের। সেই কারণেই এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছেন সারা দুনিয়ার গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে কত রকমের করোনাভাইরাস ঘুরে বেড়াচ্ছে?

মেডিক্যাল জার্নাল ‘মেডআরএক্সআইভি’-তে প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্র। সেখানেই জানাগেছে ওই নারীর কথা। ২০০৬ সালে তার শরীরে প্রথম বার এইচআইভি ধরা পড়ে। তারপর থেকে ক্রমশই খারাপ হয়েছে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। দেখা গেছে তারপর থেকে তার শরীরে ১৩ বার ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন ঘটিয়েছে। সেই সাথে আরো ১৯ রকমের জিনগত পরিবর্তন‌ হয়েছে তার। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৩০ বারেরও বেশি বার মিউটেশন ঘটিয়েছে ভাইরাস। স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের কেস থেকে কোভিড-১৯-এর (COVID-19) মিউটেশনের ক্ষমতা সম্পর্কে আরো নতুন তথ্য জানা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এখনো স্পষ্ট নয়, ওই নারীর শরীর থেকে সংক্রমণ আরো কারো দেহেও ছড়িয়েছে কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ কোনো ব্যক্তির তুলনায় একজন এইচআইভি পজিটিভ রোগীর করোনায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ২.৭৫ গুণ বেশি। যদিও এক্ষেত্রে আক্রান্ত নারীটি প্রাণে বেঁচে গেছেন। তার শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ব্রিটেনে পাওয়া করোনার স্ট্রেনগুলো পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটাল এলাকার মতো যেসব জায়গায় এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি, সেখান থেকেই নতুন ধরনের স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে বেশি। এবং এটা কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নয়। তারা মনে করছেন, সম্ভবত এইচআইভি পজিটিভ রোগীর শরীর সারা বিশ্বেই করোনার নানা স্ট্রেনের ফ্যাক্টরি হয়ে উঠতে পারে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement