২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালিতে ফরাসি বিমান হামলায় নিহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক ব্যক্তি : জাতিসঙ্ঘ

- প্রতীকী ছবি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে জাতিসঙ্ঘ মিশন বলেছে, জানুয়ারিতে ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় বিপুল সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সক্রিয় বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সন্দেহভাজন নিরস্ত্র সদস্যদের দমনে ফরাসি বাহিনীর অভিযানে এই বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ফ্রান্স জাতিসঙ্ঘের এই দাবিকে অস্বীকার করেছে।

জাতিসঙ্ঘের মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড মিশন ফর স্টাবিলাইজেশন ইন মালি (মিনুসমা) মালিয়ান ও ফরাসি কর্তৃপক্ষকে বিমান হামলার ফলাফল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন নিয়ে নিজস্ব স্বাধীন তদন্ত করার প্রস্তাব করে।

পাশাপাশি সংস্থাটি মালি ও ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষকে হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলে।

গত ৩ জানুয়ারি 'বারখানে অভিযানের' সময় ফ্রান্সের সেনাবাহিনী একটি জনসমাবেশে বিমান থেকে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে।
ডুয়েন্টজা অঞ্চলের বোন্টি গ্রামের ওই সমাবেশে অন্তত ৪০ জন উগ্রবাদী ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে স্থানীয় সূত্রে বলা হয়েছে, একটি বিবাহের অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ওই বোমা হামলা করা হয়। অনুষ্ঠানে বেসামরিক ব্যক্তিরাই উপস্থিত
ছিল।

জাতিসঙ্ঘের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে ২২ ব্যক্তি নিহত হন তাদের মধ্যে ১৯ জনই সাধারণ মানুষ। বাকি তিনজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে
যে তারা আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট কাতিবা সেরমার সদস্য। এ হামলায় আরো আট ব্যক্তি আহত হন। হামলার শিকার হওয়া সকল ব্যক্তিই
বোন্টি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বয়স ২৩ থেকে ৭১ বছর। এ তদন্তের সময় ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামটিতে কোনো অস্ত্র বা বাইক দেখা
পায়নি জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারী দলটি। সুতরাং ওখানে জঙ্গি আছে এটা প্রমাণ করা যায়নি।

যদিও ফ্রান্সের সেনাবাহিনী বলছে গোয়েন্দা তথ্য ও তখনকার পরিস্থিতিতে ওই সমাবেশকে সশস্ত্র উগ্রবাদীদের সমাবেশ বলে চিহ্নিত
করা হয়েছিল।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement