২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লিবিয়ায় নতুন সমীকরণ : হাফতার নিয়ন্ত্রিত বেনগাজিতে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট

জেনারেল খলিফা হাফতারের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ইউনুস মানফি - ছবি : ডেইলি সাবাহ/আনাদোলু এজেন্সি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইউনুস মানফি বিভক্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের গোত্রপ্রধান ও অন্য নেতাদের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনা করেছেন। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জেনারেল খলিফা হাফতারের নিয়ন্ত্রিত বেনগাজিতে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করছেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার এথেন্স থেকে বেনগাজিতে পৌঁছেন লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট।

জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে সুইজারল্যান্ডে লিবিয়ার সংঘাতরত বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কূটনীতিক মোহাম্মদ ইউনুস মানফি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রভাবশালী লিবীয় ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ মোহাম্মদ দাবিবাহকে নির্বাচিত করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার বছরের শেষে ২৪ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে সাহায্য করবে।

বেনগাজিতে পৌঁছার আগে মানফি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একতা ও সত্যিকার মীমাংসা অর্জন করা এবং দুর্ভোগের সমাপ্তিতে সকলের সাথে সহযোগিতা করা।’

বৃহস্পতিবার পৌঁছার অল্প কিছুসময় পরেই বেনগাজির ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) পূর্বে রাজমা গ্রামে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধবাজ নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের সাথে তার বাহিনীর সদর দফতরে সাক্ষাত করেন।

ইউনুস মানফি ও খলিফা হাফতারের মধ্যে এই বৈঠকে হাফতার অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং লিবিয়ায় ‘শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হস্তান্তরে’ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ায় সাধারণ মানুষ চার দশক দেশটি শাসন করা একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। গাদ্দাফি সামরিক পন্থায় বিক্ষোভকারীদের দমন করতে চাইলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গৃহযুদ্ধের এক পর্যায়ে বিদ্রোহীদের হাতে গাদ্দাফি নিহত হলেও দেশটিতে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ থেকে নতুন করে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৪ থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটি ত্রিপোলিকেন্দ্রীক পশ্চিম ও তবরুককেন্দ্রীক পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধবাজ নেতা খলিফা হাফতার জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত পশ্চিমাঞ্চলের সরকারের কাছ থেকে রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নিতে হামলা চালায়। দীর্ঘ ১৪ মাস সংঘর্ষের পর তার এই হামলা ব্যর্থ হয়।

গত বছরের অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘ উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করে এবং দেশটির সংকট সমাধানে বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা করে।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানে নিহত আরো ৬, সেনা মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ বিয়ের প্রলোভনে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনই চীন-মেক্সিকো-কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করবেন আ’লীগ ইসলামী আদর্শকে জঙ্গিবাদ বলে এখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে : আলাউদ্দিন সিকদার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কঠোর হয়ে দমন করতে চাই না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শরণখোলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে আলী সভাপতি-আনোয়ার সম্পাদক রিমান্ড শেষে কামরুল-জ্যাকবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ সংবিধানে যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিলো বিএনপি যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন জানুয়ারিতে, ট্রায়াল ট্রেনের যাত্রা শুরু চিন্ময়ের মুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করতে ভারতকে অনুরোধ ইসকনের

সকল