বিশ্বের গভীরতম সোনার খনিতেও করোনার হানা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ মে ২০২০, ০৮:৪০, আপডেট: ২৫ মে ২০২০, ০৮:১৪
পাতালেও রক্ষা নেই। সেখানেও হাজির করোনাভাইরাস। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে এমপোনেং সোনা খনির শ্রমিকদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাও একজন—দুজন নয়, ১৬৪ জন শ্রমিক এই মারণভাইরাসের কবলে পড়েছেন। ফলে মহাবিপদের মুখে বিশ্বের গভীরতম সোনার খনি। আপাতত সেখানে খনন কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ।
লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সেখানে খনন কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। তবুও মাঝেসাঝে টুকটাক কাজ চলছিল। তার পর লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় আবার খনিতে কাজ শুরু হয়েছিল। এবার সব বন্ধ। এতজন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজে ফেরানো হয়েছিল। তবে শ্রমিকরা নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তার পরও কাজ চলছিল। জানা গেছে আক্রান্ত ১৬৪ জন শ্রমিকের শরীরে কোনো রকম উপসর্গ ছিল না। আপাতত শ্রমিকদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রথমে একজন শ্রমিকের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এর পর ৬৫০ জন শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। সারা দেশে করোনা আক্রান্ত ২১ হাজার ৩৪৩ জন। ৪০৭ জন মারা গেছে।
কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং—এর জন্য খনন কাজ আপাতত বন্ধ। খনির ভিতরে জীবাণুনাশক ছেটানোর কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্ল্যাটিনাম খনিতে সবার প্রথমে এক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে সোনার খনিগুলোতেও।
সূত্র : জি নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা