২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লিবিয়া নিয়ে জরুরী আলোচনায় এরদোগান-পুতিনসহ বিশ্বনেতারা

- ছবি : সংগৃহীত

তেল সমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘাতের অবসানের সমাধান খুঁজতে আলোচনায় বসেছেন বিশ্বনেতারা। লিবিয়ার যুদ্ধরত দুই পক্ষের নেতারা এবং বিশ্বনেতারা জার্মানির বার্লিনে আলোচনা শুরু করেছেন।

রোববার বার্লিনে তারা জরুরী এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। সম্মেলনের আয়োজক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল আলোচনা সভা শুরু করেন।

এতে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, আলজেরিয়া, চীন এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিসহ জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আরব লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সারাজ এবং বেনগাজিভিত্তিক বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

এরদোগান রোববার শান্তি আলোচনায় বলেছেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পথ প্রশস্ত করতে হাফতারকে আগ্রাসী অবস্থান থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের শুরুতে এরদোগান এসব কথা বলেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় বিদেশী সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে থাকা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো বলেন, এই ধরনের হস্তক্ষেপ কেবল সংঘাতকে বাড়িয়ে তুলবে।

রাজধানী ত্রিপোলিতে সিরিয়ান ও বিদেশি যোদ্ধাদের আগমন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ম্যাক্রো বলেন, এটি অবশ্যই শেষ হওয়া উচিত।

এর আগে ১২ জানুয়ারি তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার ও বিরোধী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী। পরে রাশিয়ায় উভয়পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসলে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মস্কো ছাড়েন জেনারেল হাফতার।

দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জাতিসংঘ স্বীকৃত ফায়েজ আল সেরাজ ও পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত জেনারেল হাফতার।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আল জাজিরা।


আরো সংবাদ



premium cement
সুদানে গৃহযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা আগের হিসাবকে বহুগুনে ছাড়িয়ে গেছে, বলছে গবেষণা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা : যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ নিহত আইনজীবীকে নিয়ে অপপ্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম : প্রেস উইং হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্র-বিরতি চুক্তি জয় দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগ্রেসরা সহজ জয়ে সিরিজে সমতা পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বিক্ষোভের স্থগিত ঘোষণা পিটিআইয়ের নিটওয়্যারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে চিশিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ অনুষ্ঠিত হিজবুল্লাহর সাথে অস্ত্র-বিরতি চুক্তি অনুমোদন ইসরাইলের অ্যাডভোকেট আলিফের খুনিদের কঠোর শাস্তি হবে : নাহিদ ইসলাম

সকল