সবজির ব্যাগে ফিলিস্তিনি শিশুর নতুন জীবনের খোঁজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৪১, আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৩১
বড় একটি ব্যাগ ভর্তি ফল আর শাক-সবজি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বেনি-এনজার সীমানা পাড় হতে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি। তাদের দেখে সন্দেহ হলো পুলিশের। সাথে সাথেই থামানো হলো। শুরু হলো জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর তল্লাশি। এক পর্যায়ে সবজির ব্যাগ থেকে বেরিয়ে এলো দশ বছরের এক শিশু।
দিনের পর দিন সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল এক ফিলিস্তিনি মাকে। সন্তানকে নিয়ে মেলিয়ার অস্থায়ী শিবিরে বসবাস করছিলেন তিনি। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা কাটাতে সন্তানকে নতুন জীবন দেয়ার পরিকল্পনা করেন এই মা।
কিন্তু কীভাবে?
অনেক ভেবে এবং খোঁজ খবর নিয়ে তিনি এক দম্পতির সন্ধান পান। যারা তার ছোট্ট ছেলেটিকে সীমানা পাড় করিয়ে মরক্কো থেকে স্পেনে পৌঁছে দিবে।
নতুন বছরের আগমনের আগেই সন্তানকে নতুন জীবন দিতে মা তাই ছেলেকে তুলে দেন মরক্কোর সেই দম্পতির হাতে।
বছর দশেকের সেই শিশুটিকে সীমানা পাড় করাতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন তারা। সবজির একটি ট্রলির ভেতরে মাথা নিচু করে তাকে গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে বলেন। এরপর তাকে ঢেকে দেয়া হয় ফল আর সবজি দিয়ে।
সেই ট্রলি নিয়ে ওই দম্পতি মেলিয়া শহরের বেনি-এনজার সীমানা পাড় হতে যান। ঠিক তখনই পুলিশের নজর পড়ে তাদের সেই ট্রলির ওপর। তখনই তাদের থামানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ট্রলিটি তল্লাশি করার জন্য তুলতেই সন্দেহ আরো বাড়ে। এতো ভারী!
এরপর শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ ট্রলি থেকে একটি একটি করে ফল আর সবজির ছোট ছোট ব্যাগগুলো নামাতে থাকেন। তারপরই দেখতে পান ছোট্ট একটি শিশু মাথা নিচু করে বসে আছে। তার চোখই বলে দিচ্ছিলো তার অসহায়ত্বের কথা।
পরে ত্রিশোর্ধ্ব সেই দম্পতিকে মানব পাচারের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। আর শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সাথে ফিরিয়ে দেয়া হয় তার অনিশ্চিত জীবন।
সূত্র - ডেইলি মেইল