২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যে অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া

ছবি : ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস -

আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্র দেশগুলোর মধ্যে গাম্বিয়া অন্যতম। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান এই দেশটিই রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে জাতিসংঘে সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজে-তে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে গাম্বিয়া বলেছে, রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংস সামরিক অভিযান চালানোর মাধ্যমে ১৯৪৮ সালে গৃহীত জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার।

দেশটি বলছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ৫৭ জাতির সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স বা ওআইসি'র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ওআইসি'র ১৪তম সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজে-এ তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়।

এজন্য ওআইসি'র এড-হক মিনিস্ট্রিয়াল কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গাম্বিয়া এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে।

গাম্বিয়ার পরিচিতি
দেশটির আয়তন বাংলাদেশের ১২ ভাগের এক ভাগ এবং দেশটির মোট জনসংখ্যা মাত্র ১৯ লাখ। গাম্বিয়ার জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ সুন্নি মুসলিম।

১৯৬৫ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে গাম্বিয়া। ১৯৮২ সালে সেনেগালের সাথে একত্রিত হয়ে 'সেনেগাম্বিয়া' নামের একটি কনফেডারেশন করা হয়। কিন্তু ১৯৮৯ সালে সে কনফেডারেশন ভেঙ্গে যায়।

১৯৯৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন লেফট্যানেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ্। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর দেশ শাসন করেন।

২০১৫ সালে গাম্বিয়াকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন দেশটির তখনকার প্রেসিডেন্ট।

এই অভিযোগের গুরুত্ব কী?
ব্রাসেলস-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে অভিযোগ ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-এ গাম্বিয়া দায়ের করেছে সেটি নজিরবিহীন।

গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে এর আগে আইসিজে'র কাছে কেউ কখনো আসেনি বলে উল্লেখ করেন জিয়াউদ্দিন।

তিনি বলেন, আইসিজে যদি শোনার জন্য এই অভিযোগ গ্রহণ করে তাহলেও এটি একটি বড় প্রাপ্তি হবে।

গাম্বিয়ার দায়ের করা অভিযোগের গুরুত্ব সম্পর্কে জিয়াউদ্দিন ব্যাখ্যা করেন, "এটা ঠিক ক্রিমিনাল কেস হচ্ছে না। গণহত্যা সংক্রান্ত যে আন্তর্জাতিক সনদ আছে ১৯৪৮ সালের, সেই সনদটা ইন্টারন্যাশনাল ল'র একটি মূল অংশে পরিণত হয়েছে। কোন একটা রাষ্ট্র যদি মনে করে যে আরেকটা রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন মান্য করছে না তখন তারা আইসিজে'র শরণাপন্ন হতে পারে এবং এখানে গাম্বিয়া সে কাজটাই করেছে।"

মিয়ানমার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-এর সদস্য।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে, আইসিজে কি এখন মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনতে পারবে?

জবাবে জিয়াউদ্দিন বলেন, আইসিজে'র সামনে হাজির হওয়ার জন্য সার্বভৌম দেশ হিসেবে মিয়ানমার বাধ্য নয়। আইসিজে'র সে ক্ষমতাও নেই।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
উপজেলা নির্বাচনে বাদ যেতে পারে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ ভারত থেকে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি কিসের আলামত, প্রশ্ন রিজভীর ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে’ সরিষাবাড়ীতে আগুন লেগে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি ড. মোশাররফের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হাইকোর্টে বাতিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথির মোহাম্মদের আহ্বান চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ ‘একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করতে সনাতনীদের উসকানি দিচ্ছে’

সকল