সুদানে ৭ বিক্ষোভকারী নিহত
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০১ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৩
সুদানে বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার দাবিতে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার দেশটির রাজধানী খার্তুমে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। এ দিন দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত সাতজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছে।
রোববার নগরীর কয়েকটি এলাকায় লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে সামরিক শাসন বিরোধী মিছিল নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে এগিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে ও অভিজাত রিয়াদ আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়, তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
অজ্ঞাত স্নাইপাররা বেসামরিক ও সৈন্যদের দিকে গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের উপপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলাকালে সাতজন নিহত ও ১৮১ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জন গুলিতে হতাহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জন নিয়মিত বাহিনীগুলোর সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এদের মধ্যে জেনারেল দাগালোর নেতৃত্বাধীন র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সদস্য তিন সৈন্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, বাকি সাতজন বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকারবিরোধীদের সমর্থক চিকিৎসকদের একটি গোষ্ঠী জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে বেশ কয়েকটি শহরে অন্তত পাঁচজন বিক্ষোভকারী নিহত ও বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। হতাহতের এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলার পর সামরিক বাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে সামরিক বাহিনীর একটি কাউন্সিল দেশটি নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিক্ষোভ বজায় রেখে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীকে চাপ দিচ্ছে। ৩ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটরত বিক্ষোভকারীদের শিবিরে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সদস্যরা অভিযান চালালে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা ভেঙে যায়। যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির ক্ষমতায় এসেছিলেন তার ৩০তম বর্ষপূর্তি ছিল রোববার। এ দিনটি উপলক্ষে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল সরকার বিরোধী জোট দ্য ফোর্সেস ফর ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জ (এফএফসি)।
বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার জন্য এ দিনটিকেই সুদানের সামরিক শাসকদের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করেছিল আফ্রিকান ইউনিয়ন, অন্যথায় আরো নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছিল তারা।
নগরীর কয়েকটি এলাকায় লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে সামরিক শাসন বিরোধী মিছিল নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে এগিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে ও অভিজাত রিয়াদ আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়, তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলাকালে সাতজন নিহত ও ১৮১ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জন গুলিতে হতাহত হয়েছে। আহত ১০ জন নিয়মিত বাহিনীগুলোর সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এদের মধ্যে জেনারেল দাগালোর নেতৃত্বাধীন র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সদস্য তিন সৈন্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, বাকি সাতজন বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে হতাহতের এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের উপপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো জানিয়েছেন, অজ্ঞাত স্নাইপাররা বেসামরিক ও সৈন্যদের দিকে গুলি ছুড়েছে। সরকারবিরোধীদের সমর্থক চিকিৎসকদের একটি গোষ্ঠী জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে বেশ কয়েকটি শহরে অন্তত পাঁচজন বিক্ষোভকারী নিহত ও বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।