মৃত হাতি খেয়ে মারা গেল ৫৩৭ শকুন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ জুন ২০১৯, ১৭:০৫, আপডেট: ২১ জুন ২০১৯, ১৭:১৯
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ বতসোয়ানায় একই দিনে মারা গেছে পাঁচ শ’রও বেশি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির শকুন। দেশটির সরকার বলেছে, বনাঞ্চলে চোরাকারবারীদের শিকার করা হাতির বিষাক্ত মাংস খেয়ে মারা গেছে ৫৩৭টি শকুন ও ২টি ইগল। বতসোয়ানারা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এলাকায় এই শকুনগুলো মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। মোট ৫ প্রজাতির শকুন রয়েছে এগুলোর মধ্যে।
শকুনকে অনেক বছর আগেই বিপুপ্ত প্রায় প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে দেখা যায় শুধুমাত্র এদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বতসোয়ানা সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চোরকারবারীরা হাতি শিকারের পর সেগুলোর গায়ে রাসায়নিক তরল পদার্থ দেয় যাতে মাংস দ্রুত পঁচে যায়। এরপর তারা সেই হাতিগুলোর দাঁত, হাড় সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পাচার করে। রাসায়নিক দেয়া এমনি তিনটি হাতির মাংস খেয়েছিল ওই শকুনগুলো। যে কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আফ্রিকান বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশন বলেছে, হাতি চোরাকারবারীদের একই কাজ শকুনের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এ কারণেই এই অঞ্চলে শকুনের সংখ্যা দ্রুত কমছে। শকুন যেহেতু প্রাণীদের মৃতদেহ খায়, তাই তাদের জন্য এটিই বিপদ ডেকে আনছে।
সংস্থাটি বলেছে, মৃতপ্রাণীদের দেহ খেয়ে শকুন পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এর ফলে প্রাণীদের মৃতদেহ থেকে রোগবালাই ছড়াতে পারে না।
সম্প্রতি বতসোয়ানা সরকার হাতি শিকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এরফলে চোরা কারবারীরা আরো উৎসাহিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সিএনএন