মুরসির মৃত্যুতে ‘চুপ’ আরব বিশ্ব
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জুন ২০১৯, ১৭:৪৭
মিসরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একমাত্র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসির সোমবার মৃত্যুবরণ করেছেন কারাবন্দী অবস্থাতেই। আদালতে একটি মামলার বিচারকার্য চলার সময় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর তাকে বন্দী করা হয়। একের পর এক মামলায় জর্জরিত করা হয় ৩০ বছরের স্বৈরশাসন সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এই নেতাকে।
মুরসির মৃত্যুতে তাই সারাবিশ্বেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। যদিও ব্যত্ক্রিম আরব বিশ্ব ও পশ্চিমারা।
আফ্রিকার আরো অনেক দেশের মতোই মিসরে স্বাধীনতার পর থেকেই ছিল স্বৈরশাসন। আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ মিসরে ৩০ বছরের হুসনি মোবারকের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১২ সালে গণতন্ত্রের সুবাতাস এনে দিয়েছিল আরব বসন্ত। সে সময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশটিতে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয় মুরসির নেতৃত্বে; কিন্তু সেই শান্তি স্থায়ী হয়নি মিসরবাসীর জন্য। সেনাপ্রধান আবদুল ফাতাহ আল সিসি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। সেই সাথে ব্যাপক দমন-নির্যাতন শুরু হয় মুরসি ও তার সমর্থকদের ওপর।
মুরসির মৃত্যুতে বিভিন্ন মুসলিম দেশ শোক ও প্রতিবাদ জানালেও ব্যত্ক্রিম আরব বিশ্ব। আরব বিশ্বের নেতাদের কাছ থেকে এই ইস্যুতে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্যতিক্রম কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলে ছানি। মুরসির মৃত্যুতে কাতারের আমির গভীর শোক ও তার পরিবার এবং মিসরবাসীর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া আর কোন আরব রাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তিউনিসিয়ার আননাহদা পার্টি, পাকিস্তানের মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও জামায়াতে ইসলামী, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম ব্রাদারহুড শোক ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরকারিভাবে এই মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্ক।
এছাড়া পশ্চিম বিশ্বও চুপ ছিলো এই মৃত্যুর ঘটনায়। তবে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র শোক জানিয়েছেন মুরসির মৃত্যুতে। শোক জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা।