আফ্রিকার প্রযুক্তির বাজার চীনের দখলে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ মে ২০১৯, ১৩:০৯
চাইনিজ প্রযুক্তি অবকাঠামো দিয়ে অনেক আফ্রিকান দেশের পুরো প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। আমেরিকানরা যতোই সতর্ক করুক, আফ্রিকার টেক বাজারে চীনাদের আধিপত্য কেবল বাড়ছেই।
আফ্রিকায় ডিজিটাল সিল্ক রোড
অনেক আফ্রিকানই জানেন না যে, তারা যে ইন্টারনেটটি ব্যবহার করছেন, তার অবকাঠামো তৈরি করেছে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে, জেডটিই অথবা চায়না টেলিকম। আফ্রিকা জুড়ে চীন শুধু ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক তৈরিই করছে না, বরং তাদের পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি এনে দিচ্ছে।
কেন পিছিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো?
পশ্চিমা দেশগুলো যতই বলুক, আফ্রিকায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে হবে, এই মহাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। এই সুযোগটিই লুফে নিয়েছে চীন। শুধু চীন নয়, দক্ষিণ কোরিয়াও রুয়ান্ডার প্রযু্ক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
‘মেড ইন চায়না’ প্রযুক্তির শঙ্কা
বেইজিংয়ের ইন্টারনেট সেন্সরশিপের যে মডেল, তা আফ্রিকায় ঢুকে পড়ছে বলে আশঙ্কা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। চীনের ওপর নিজ দেশে প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি মুহূর্তের জীবনে নজরদারি করার যে অভিযোগ রয়েছে, চীনা পণ্য কিনে ও চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আফ্রিকাতেও দেশটি এমন নজরদারির সুযোগ তৈরি করছে বলে আশঙ্কা তাদের।
সাধারণ আফ্রিকানদের ভাবনা
এক গিগাবাইট ডেটা কিনতে একজন সাধারণ আফ্রিকানের আয়ের ৮ ভাগ খরচ করতে হয়। এই দাম অ্যামেরিকা বা এশিয়া মহাদেশ থেকে অনেক বেশি। বেশিরভাগ আফ্রিকানই কম পয়সায় ইন্টারনেট চান। আর চীন সেটা দিতে পারলে, ‘নজরদারি’ নিয়ে ভাবেন না তারা।
দরজা এখনো খোলা
যদিও আফ্রিকার বাজার অনেকটাই দখলে চলে গেছে চীনের, পশ্চিমাদের জন্য এখনো অনেক সুযোগ আছে। তাই এরই মধ্যে ঘানার আক্রায় ইন্টেলিজেন্স ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। মাইক্রোসফটও দক্ষিণ আফ্রিকায় ডেটা সেন্টার স্থাপন করেছে। ডয়েচে ভেলে।