২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

২৭ বছরে ৪৪ সন্তানের জন্ম

-

মরিয়ম নাবাতানজি। বয়স ৩৯ বছর। ১২ বছরে বিয়ে হয় তার। বিয়ের প্রথম বছরেই জমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মাত্র ২৭ বছরে ৪৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন উগান্ডা বসবাসকারী এই নারী৷ অবাক করা হলেও সত্যি ঘটনা এটি৷ বিশাল এই পরিবারের ভার একাই সামলান সাহসী মরিয়ম৷

প্রথম বার ছাড়াও দুটি করে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আরো পাঁচবার৷ তিনটি করে সন্তান হয়েছে চারবার৷ আর চারটি করে সন্তান প্রসব করেছেন পাঁচবার৷ তিন বছর আগে স্বামী ছেড়ে যায় তাকে৷ ৩৯ বছরের মরিয়ম এখন জীবিত ৩৮ সন্তানের জননী৷ মৃত সন্তান আছে আরো ৬টি। তারা কখনো জন্মের সাথে সাথে আবার কেউ কেউ কিছুদিন পরে মারা যায়। সে হিসাব মতে তিনি ২৭ বছরে মোট জন্ম দিয়েছেন ৪৪টি সন্তান।

সন্তানদের নিয়ে পূর্ব কাম্পালার মুকোনো জেলার কাসায়ো নামের একটি গ্রামে বসবাস করেন নাবাতানজি৷ প্রথম জমজের জন্মের পর তিনি সেখানকার এক ডাক্তারের কাছে যান৷ ডিম্বাশয়ের আকার বড় হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে– এমন তথ্য জানিয়ে ডাক্তার তাকে জন্মবিরতিকরণ পিল খেতে নিষেধ করেন৷ এরপর একের পর এক সন্তান আসতে থাকে নাবাতানজির কোলজুড়ে৷

শুধু নাবাতানজির নন, গোটা আফ্রিকায় পরিবারগুলোর আকারই তুলনামূলকভাবে বড়৷ উগান্ডা তার মধ্যে অন্যতম৷ সেখানে প্রতিজন নারীর সন্তান জন্মের হার ৫ দশমিক ৬ জন, বৈশ্বিক গড় সেই তুলনায় অনেক কম– ২ দশমিক ৪৷

নাবাতানজি সবশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আড়াই বছর আগে৷ ষষ্ঠ এই জমজের একটি শিশু মারা যায় জন্মের সময়ই৷ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ছয়টি সন্তানের মৃত্যু হয়েছে৷ সবশেষ সন্তানের জন্মের পরই স্বামী নাবাতানজিকে ছেড়ে যায়৷ পরিবারটিতে এখন তার নামটিও যেন এক অভিশাপ৷ ‘আমি চোখের জল ফেলেই জীবন কাটিয়েছি৷ আর আমার পুরুষ এই বিপর্যয়ের মধ্যে আমাকে ছেড়ে গেছে,’ বলেন নাবাতানজি৷

সন্তানদের দেখাশোনা আর তাদের ভরণপোষণের জন্য আয়রোজগারেই দিন পার করেন নাবাতানজি৷ এজন্য একাধিক কাজ করতে হয় তাকে৷ চুল সজ্জা, মানুষের ঘর সাজানো, ফেলনা জিনিপত্র সংগ্রহ ও সেগুলো বিক্রি, হার্বাল ঔষধ বিক্রি– একা সবই করেন তিনি৷ আর দিনশেষে যা আয় হয়, সবই চলে যায় সন্তানদের খাবার, চিকিৎসা, কাপড় আর স্কুল ফি-র পেছনে৷

নাবাতানজির সন্তানদের একজন সাত বছর বয়সের ইসাক মুবিরো৷ একটি কক্ষে লোহার খাটে পাতলা ম্যাট্রেসের উপর ঘুমায় বারো সন্তান৷ বাকিরা ময়লা মেঝেতেই রাত পার করে৷

নাবাতানজি জানান, দৈনিক ২৫ কিলোগ্রাম ভুট্টার আটা লাগে পুরো পরিবারের খাওয়ার জন্য৷ এই একটি খাবারই সারাদিন চলে৷ মাছ আর মাংস খাওয়ার ঘটনা ঘটে খুবই কম৷

নাবাতানজির সন্তানদের প্রত্যেকেই ঘরের কাজ ভাগ করে নেয়৷ বড়রা ছোটদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে৷ প্রত্যেকেই রান্নাসহ ঘরের সব কাজ করে৷ দেয়ালের একটি কাঠের বোর্ডে দৈনিক কাজের তালিকা ভাগ করে দেয়া থাকে৷


আরো সংবাদ



premium cement
সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ ঋণ তিন মাস প‌রিশোধ না করলে খেলাপি ‘গণঅভ্যুত্থানের বড় স্টেকহোল্ডার ছিল শিবির’ দাবি ইবি সমন্বয়কের যুক্তরাষ্ট্রে পরকীয়া করছেন নায়ক নিরব, অভিযোগ স্ত্রীর আইনজীবী হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে আজও উত্তাল চট্টগ্রাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাসনাত-সারজিসকে হত্যার চেষ্টা, ঢাবিতে বিক্ষোভের ডাক বিচারপতিকে ডিম ছুঁড়ে মারলেন আইনজীবীরা এবার প্রকাশ্যে এলেন বেরোবি শিবির সভাপতি রূপগঞ্জে সুতা কারখানায় আগুন নোয়াখালীতে পিলখানায় হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

সকল