কোথায় সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১১, আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:২২
সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে। তবে দেশটির নবগঠিত সেনা সামরিক কাউন্সিল তা স্বীকার করেছে না। নতুন এই সরকারের পক্ষ থেকে বশিরের বর্তমান অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না।
৩০ বছর ধরে দেশ শাসন করে আসা ওমর আল বশিরের পতন হয় গত সপ্তাহে। চার মাস ধরে চলা জনবিক্ষোভের প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবনে আওফের নেতৃত্বে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর মঙ্গলবার রাতে তাকে গৃহবন্ধী অবস্থা থেকে রাজধানী খার্তুমের কোবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে বশিরের পারিবারিক সূত্র। সরকার অস্বীকার করলেও কারাগার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কোবার জেলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ওমর আল বশিরকে রাখা হয়েছে।
খার্তুম থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সামরিক শাসক পরিষদের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। তাদের কেউ বলছেন, গৃহবন্দী দশা থেকে বশিরকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত তাকে সেখানেই রাখা হবে।
এদিকে যে বিক্ষোভকারীরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান করছে, তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছে ক্ষমতায় থাকাকালীন অপরাধের জন্য বশিরকে আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত তারা অবস্থান ত্যাগ করবে না। এছাড়া বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্তও তাদের বিক্ষোভ চলবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোবর জেলখানার আশাপাশে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। খার্তুমের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই জেলখানাটির চারপাশে এখন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সেনা সদস্যরা গাড়ির ওপরে মেশিন গান তাক করে টহল দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে ক্ষমতা থেকে উৎখানের পর ওমর আল বশিরকে তার বাসভবনে কড়া পাহাড়ায় রাখা হয়েছিল। সে সময় তার বাড়ির চারদিকে সেনাবাহিনীর যে কড়া পাহাড়া ছিলো এখন তা দেখা যাচ্ছে কোবার জেলের কাছে। তাই সরকার স্পষ্ট করে না বললেও ধারণা করা হচ্ছে কোবর জেলেই নেয়া হয়েছে দীর্ঘ দিনের শাসককে।
২০০৩ সালে দারফুর সঙ্ঘাতে প্রাণহানীর ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ওমর আল বশিরসহ ওই সময়ের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সেনাকর্মকর্তাকে।